ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন: ওসিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন: ওসিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা আদালত ভবনের ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তাসহ সাত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র আনোয়ার হোসেন। আদালত চট্টগ্রামের সিভিল সার্জনকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে এ আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী উপল কান্তি নাথ বাংলানিউজকে জানান, গত ১২ মে আনোয়ার হোসেনের বড় ভাইয়ের রাজনৈতিক মামলার ওয়ারেন্ট তামিল করতে বাড়িতে যায় পুলিশ।

এ সময় ওয়ারেন্টের বিষয়ে পুলিশের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ আনোয়ারকে আটক করে থানায় এনে বেধড়ক মারধর করে আদালতে চালান দেয়।
পরে ১৬ মে আদালত থেকে জামিন নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎন নেন তিনি।

বৃহস্পতিবার পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনায় লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তিন উপপরিদর্শক ( এসআই) এবং  তিন উপসহকারী পরিদর্শকের (এএস্‌আই) বিরুদ্ধে মামলা করেন আনোয়ার।

মামলার বিষয়টি শুনেছেন জানিয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে জানান, আনোয়ারের বড় ভাই দেলোয়ার নাশকতার মামলার আসামি ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য বাড়িতে গেলে আনোয়ারসহ বাড়ির লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। আনোয়ার হকিস্টিক দিয়ে মেরে এক পুলিশ সদস্যকে আহত করেন। ওই পুলিশ সদস্য চমেক হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে দামপাড়া পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় আনোয়ারকে আসামি করে মামলা দায়ের করে তাকে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছিল।

ওসি জানান, কোনো আসামির যদি থানা হেফাজতে নির্যাতনে জখম হয়ে থাকে তবে আদালত বা জেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকের সনদ ছাড়া গ্রহণ করেন না। আনোয়ারকে থানায় মারধর করা হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭

এআর/টিসি

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।