বুধবার (১৭ মে) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম শাখা আয়োজিত ‘শহীদজননী জাহানারা ইমামের আন্দোলনের ২৫ বছর: প্রাপ্তি ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের নামে দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে তৎপর হয়েছে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে দেশের প্রচলিত আইনে বিচারের মাধ্যমে জাতিকে পিতৃহত্যার কলঙ্ক থেকে মুক্তি দিয়েছেন। দীর্ঘদিন জাতির বুকে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি ছিল, যারা গণহত্যা, গণধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করেছে এবং যে পরিবারগুলো বিচার পাচ্ছিল না রাষ্ট্রের কাছে, ধর্ষিতা নারীরা বিচার পাচ্ছিল না প্রধানমন্ত্রী বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করে বিচারের সংস্কৃতি চালু করলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছিলেন মানবতাবিরোধী অপরাধে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার করবেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ও ব্যক্তির বিচার কাজ শুরু করেছিলেন। যারা সেদিন ঘাতক ছিল সেই ঘাতকদের বিচারের জন্য আইন করে, আদালত করে তিনি বিচারের কাজ শুরু করেছিলেন। তারা কারাগারে ছিলেন। জেনারেল জিয়াউর রহমান যখন জাতির পিতার হত্যার পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে পুনর্বাসিত করলেন, জাতির পিতার খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করলেন সেই সময় তিনি কারাগারে বন্দী ঘাতকদের মুক্ত করে দিলেন। ২০০১ সালে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী যখন জামায়াতকে সাথে নিয়ে ক্ষমতায় আসলেন মানবতাবিরোধী দুই অপরাধীকে মন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলেন।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, পঁচাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকারের ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছিল। তারা দুর্নীতি, অপশাসনে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। আমাদের গর্বের বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই রাষ্ট্রকে নতুন করে তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত করেছেন।
জাহানারা ইমামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শহীদজননী এমন সময়ে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার দাবি করেছিলেন যখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় ছিল। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল শক্তি হিসেবে জাহানার ইমামের আন্দোলনে সহযোগিতা করেছিলেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন রাজনীতিক স্বপন সেন, জেলা নেতা মো. অলিদ চৌধুরী, মো. হেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর আলী, আরকে রুবেল প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করে জেলা নেতা মহিউদ্দিন সোহেল।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এআর/টিসি