জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডাব্লিটিও) ২৯তম এশিয়া ও প্যাসিফিক কমিশন (সিএপি) এবং দক্ষিণ এশিয়া কমিশনের (সিএসএ) যৌথ সম্মেলনের সমাপনী দিনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব।
এসময় অন্যদের মধ্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল ফারুক খান উপস্থিত ছিলেন।
তালেব রিফাই বলেন, ‘বাংলাদেশ সুন্দর দেশ, সংস্কৃতি ও ভূমির দিক দিয়েও বৈচিত্রপূর্ণ দেশ এটি। সবদিক দিয়ে বাংলাদেশ অপার সম্ভাবণার একটি দেশ।
আমি যেখানেই যাই, বিশ্বের যে কোনো দেশে সভাতে যাই-সেখানেই বাংলাদেশের সম্ভাবণার কথা তুলে ধরবো। তাদের বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য তাদের অনুরোধ করবো ’
তিনি বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ও সক্ষমতা ট্যুরিজম গড়ে উঠার তিন শর্ত। এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই দিনের এই সম্মেলনে। বাংলাদেশেও এই তিনটি শর্ত ইতিমধ্যে বিদ্যামান আছে। ’
জঙ্গিবাদ পর্যটনের ক্ষেত্রে বড় বাধা কিনা জানতে চাইলে তালেব রিফাই বলেন, ‘এটি কোনো দেশীয় সমস্যা না। এটি বর্তমানে বৈশ্বিক একটি সমস্যা। আমরা কেউই ১০০ ভাগ নিরাপদ না। তাই এটা মোকাবেলা করেই এগিয়ে যাবে পর্যটন। তাই এটাকে বড় সমস্যা মনে করছি না। ’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী একজন দক্ষ প্রশাসক। আমি চট্টগ্রামে আসার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে বুঝেছি তিনি একজন যোগ্য ব্যক্তি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। ’
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘এই সম্মেলন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি আমাদের জন্য সাফল্যের ও গর্বের বিষয়। এখানে প্রায় ত্রিশটি দেশের ৩০০জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। তারা আমাদের দেশ সম্পর্কে জেনেছেন, পর্যটনে আমাদের সম্ভাবণার বিষয়ে জেনেছেন। যা পর্যটনকে এগিয়ে নিতে আমাদের সহযোগিতা করবে। ’
সম্মেলনে বাংলাদেশ তার পর্যটন সম্ভাবণার কথা তুলে ধরে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের বিশ্ব পর্যটনের অন্তর্ভূক্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলোর যথাযথ নিরাপত্তা ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছি। পাশাপাশি কক্সবাজারে সুয়ারেজ ব্যবস্থাপনার উন্নীতকরণেও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছি। এর ফলে পর্যটকরা আমাদের দেশে আরও আগ্রহী হবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
টিএইচ/টিসি