সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার দেওয়ার পর দুপুরে অভয়মিত্র ঘাটে তাঁর শেষ কৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। বেশ কিছু দিন ধরেই দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত দেশের শুদ্ধসূরের প্রতিথযশা সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ মিহির নন্দী।
দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে শনিবার (০৬ মে) রাত ১২টায় তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বসয় হয়েছিলো ৭২ বছর।
১৯৪৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেউচিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন ওস্তাদ মিহির নন্দী। তার বাবা ফনীন্দ্র লাল নন্দী এবং মা মল্লিকা রানী নন্দী। ওস্তাদ মিহির নন্দী ছিলেন দেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী এবং শিক্ষক।
বিশুদ্ধ সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক, বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশনের বিশেষ শ্রেণীর শিল্পী, সুরকার এবং বিচারকমণ্ডলীর সদস্য। দীর্ঘ সঙ্গীত ও শিক্ষক জীবনে তাঁর হাত দিয়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য শিল্পী। সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার গত বছর ওস্তাদ মিহির নন্দীকে রাষ্ট্রীয় শিল্পকলা পদকে ভূষিত করে।
দেশমাতৃকার প্রয়োজনে ওস্তাদ মিহির নন্দী জীবন বাজি রেখে অংশ নেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে। কণ্ঠে সুরের অস্ত্রধারণ তথা সাংস্কৃতিক বিপ্লবে তার ভূমিকার কথা দেশ ও জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে।
গত ৫২ বছরে জীবনে ওস্তাদ মিহির নন্দী বহু সংগীত বিষয়ক প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। যুক্ত রয়েছেন সাংস্কৃতিচর্চার অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। অনন্য এই সংগীত সম্রাট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সংগীত বিষয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামে গণ-আন্দোলনমুখী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রথমসারির একজন সংগঠক। চট্টগ্রামে প্রথমবার পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয় তারই হাত ধরে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এমইউ/টিসি