শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সেমিনার কক্ষে দূর্যোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা দাদু ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসা যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট. অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস’র প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-আমীন। পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, এনজিও এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা মতামত দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. মো. ইদ্রিস আলম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তিস্থল এবং স্থলভাগে আঘাতের স্থানের উপর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ভর করে। পৃথিবীর মাত্র ৫ শতাংশ ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয় কিন্তু পার্শ্ববর্তী ভারত এবং মায়ানমারের ঘূর্ণিঝড়ে পৃথিবীর ৭৫ শতাংশ বেশি জন্ম মৃত্যু সংঘটিত হয়।
বাংলাদেশে পৃথিবীর ৫০ শতাংশ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্ট জন্ম মৃত্যু সংঘটিত হয়, যদিও দেশটিতে পৃথিবীর মাত্র ১ শতাংশ ঘূর্ণিঝড় আঘাত করে। ঐতিহাসিক নথিপত্র এবং সাম্প্রতিক উৎস অনুসারে ১৪৮৪ হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের উপকূলে কমপক্ষে ১৪০ টি হারিকেন মাত্রার ও ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে, যা অধিকাংশরই গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি।
দাদু’র অবৈতনিক প্রধান নির্বাহী ড. মো. ইদ্রিস আলম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বর্ধিত সমুদ্রপৃষ্ঠ তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাবে বলে গবেষণায় দেখা যাচ্ছে।
১৯০১ থেকে ১৯৯৮ সময়ের ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ তাপমাত্রার সম্পর্কের অধ্যয়নে দেখা যায়, সমুদ্রপৃষ্ঠ তাপমাত্রা বৃদ্ধি সত্ত্বেও ১৯৮১ সালে থেকে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বঙ্গোপসাগরে কমেছে।
সেমিনারের উপস্থাপক ও তরুণ গবেষক ও উন্নয়ন কর্মী মো. আবদুস সবুর বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সাফল্য থাকলে ও আমরা নতুন নতুন হুমকি ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। তাই বাংলাদেশ সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও ভিশন হাতে নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এমইউ/টিসি