ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গভীর সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে হতেই হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
গভীর সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে হতেই হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী  গভীর সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে হতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে গভীর সমুদ্রবন্দর হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, হয়তো সোনাদিয়া হবে, নয়তো মাতারবাড়ি হবে। কিন্তু গভীর সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে হতেই হবে। চট্টগ্রাম আমাদের অর্থনৈতিক রাজধানী।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত দুদিনব্যাপী ‘পোর্ট এক্সপো ২০১৭’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন ঈর্ষণীয় উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।

বন্দর একা ইচ্ছে করলে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে না। বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হলে এনবিআরকে (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) এগিয়ে আসতে হবে।
বন্দরের দক্ষতা হলো কিন্তু এনবিআর নানান আইন-কানুন জারি করল যাতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়। এখানে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থানীয় কমিটির সভাপতি আছেন আশা করি তিনি অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করবেন। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি চাইব, ২৪ ঘণ্টা যাতে বন্দর চালু থাকে। এ ব্যাপারে এনবিআরকেও সহায়তা করতে হবে।    

মন্ত্রী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিবে এটি আমার কামনা।

‘পোর্ট এক্সপো ২০১৭’র পুরস্কার গ্রহণ করছেন সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমীন

অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালিদ ইকবালকে। যিনি দক্ষতার সাথে কাজ করে চলছেন। এখানে ‌আমাদের ক্ষান্ত হলে চলবে না। যে পণ্য আমরা রপ্তানি করি তার ৯০ শতাংশের বেশি, আপনারা বলেছেন ৯২-৯৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যায়। আমাদের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে। তাদের অনেক দুঃখ এবং কষ্ট আছে। ২০১৩ সালে বিএনপি হরতাল-অবরোধ দিয়ে এ বন্দরের কার্যক্রম বন্ধের জন্য চেষ্টা করেছিল, সফল হয়নি। ২০১৪ সালে হরতাল-অবরোধ দিয়ে রাস্তাঘাট বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল, সফল হয়নি। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। আগে ছিল ১০০ কনটেইনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের মধ্যে ৮৬, গত বছর নেমে এসেছে ৭৬ এ। আগামীতে আরও কমে আসবে। কনটেইনার হ্যান্ডলিং প্রতিবছর বাড়ছে। গ্রোথ ১৬-১৭ শতাংশ।    

পুরস্কার বিতরণ

পোর্ট এক্সপো ২০১৭’র অংশগ্রহণকারী স্টলগুলোর মধ্যে বন্দর ব্যবহারকারী বিভাগে দর্শক জরিপ ও স্টল ডেকোরেশনের ভিত্তিতে প্রথম হয়েছে জাহানারা ট্রেডিং কোম্পানি। বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুরস্কার নেন ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল হান্নান। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে মেসার্স সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন। তৃতীয় পুরস্কার গ্রহণ করেন এনজিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসানুল হক চৌধুরী।

বন্দর কর্তৃপক্ষের ১৬টি বিভাগের মধ্য পরিবহন বিভাগ, নৌ প্রকৌশল বিভাগ ও প্রশাসন-অর্থ-কম্পিউটার বিভাগ পুরস্কার পেয়েছে। পুরস্কার গ্রহণ করেন পরিচালক ট্রাফিক গোলাম ছরওয়ার, ডেপুটি টার্মিনাল ম্যানেজার এনামুল করিম ও বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম।  

** বন্দর দেশকে ব্রান্ডিং করতে পারে : ড. অাবদুর রাজ্জাক

** উপচে পড়া ভিড় পোর্ট এক্সপোর সমাপনী দিনে

** সন্ধ্যায় ফায়ার ওয়ার্কসে শেষ হচ্ছে পোর্ট এক্সপো

** ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ

** বে-টার্মিনালকে ফাস্ট ট্র্যাকে আনুন

** বন্দরের সুনাম বাড়াতে এক হয়ে কাজ করার আহবান

** পোর্ট এক্সপো: রেডিসনে রাতযাপন ১০০ ডলারে

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭

এআর/টিসি  

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।