ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দর দেশকে ব্রান্ডিং করতে পারে : ড. অাবদুর রাজ্জাক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
বন্দর দেশকে ব্রান্ডিং করতে পারে : ড. অাবদুর রাজ্জাক বন্দর দেশকে ব্রান্ডিং করতে পারে : ড. অাবদুর রাজ্জাক

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার, প্রবেশদ্বার আখ্যা দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, বন্দর দেশকে ব্রান্ডিং করতে পারে।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত দুদিনব্যাপী পোর্ট এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদান অনস্বীকার্য।

এ এক্সপো প্রশংসার দাবি রাখে। বন্দরের কার্যক্রমে সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছে এ উৎসবে।

ড. রাজ্জাক বলেন, উন্নয়ন সচল রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও সক্ষম, গতিশীল করতে হবে। বন্দর অনেক দেশকে ব্রান্ডিং করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরও পারবে।

প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, এফবিবিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ এমপি।

এমএ লতিফ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর টু মিলিয়ন ক্লাব থেকে এখন থ্রি মিলিয়ন ক্লাবে উন্নীত হচ্ছে। বন্দর রাতে ঘুমায় না। কিন্তু এনবিআরের কাস্টম হাউসের জনবল সংকটের কারণে বন্দরের সক্ষমতা বাড়লেও ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। এনবিআরের জনবল সংকটের জন্য বন্দরকে থমকে দাঁড়াতে হবে এটি আমি বিশ্বাস করি না।

নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। বন্দরে যে সমস্যাগুলো আছে তা চিহ্নিত করে বন্দরকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাই। বন্দর আজ শুধু দেশের নয়, এটি রিজিওনাল পোর্ট। টানেল হলে এ পোর্ট কুতুবদিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। ক্যাপিটাল ড্রেজিং না হওয়ায় বন্দর চ্যানেলের নাব্যতা কমছে বলে মন্তব্য করেন।

আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, আমরা যত ডিমান্ড দিচ্ছি পোর্ট তা পূরণ করছে। পোর্ট ২৪ ঘণ্টা ব্যবহার করতে পারছি না। কারণ এনবিআরের উয়িংগুলোর সার্ভিস নেই। তবে আশার কথা, এনবিআর রাজি হয়েছে দু-এক মাসের মধ্যে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিতে।

তিনি আশা করেন পোর্ট ইক্যুইপমেন্ট যাতে দ্রুত কেনা যায় সে উদ্যোগ নেবে সরকার।

উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সোমনাথ হালদার, চিটাগং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে সভাপতি আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল।

তিনি বলেন, রূপকল্প ২০২১ অর্জনে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছি। এ লক্ষ্যে আমাদের প্রথম এক্সপো। বন্দর ব্যবহারকারীরা এখানে স্টল দিয়েছেন। শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দরের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম। তিনি বলেন, ১৮৮৭ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন ও সভা করেন। বন্দর বছরে তিন হাজার জাহাজ হ্যান্ডেল করছে। জাফর আলম বে টার্মিনাল, কেসিটি, লালদিয়া টার্মিনাল নির্মাণ সম্পর্কিত কার্যক্রম তুলে ধরেন। সব শেষে বন্দর স্টেডিয়ামে থাকবে আকর্ষণীয় লেজার শো ও ফায়ার ওয়ার্কস।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।