ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘তোয়াব খান সাংবাদিকতায় কালের অভিযাত্রী’

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭
‘তোয়াব খান সাংবাদিকতায় কালের অভিযাত্রী’ ‘তোয়াব খান সাংবাদিকতায় কালের অভিযাত্রী’

চট্টগ্রাম: ‘সত্য উদঘাটন, সত্যের বিকাশ এবং সত্য প্রকাশ, এটাই সাংবাদিকতার শেষ কথা। সিন্ডিকেটেড নিউজ পেশাদারিত্বের সর্বনাশ ঘটায়।’ কালো জমিনের ওপর সাদা হরফগুলো লাল উদ্ধৃতি চিহ্নতে জ্বলজ্বল করছে শেষ প্রচ্ছদে।  কথাগুলো বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের।

যার বর্ণাঢ্য জীবন, কথামালা, অর্জন, ভিশন, মিশনকে ৪০৮ পৃষ্ঠার ‘তোয়াব খান সাংবাদিকতায় কালের অভিযাত্রী’ বইটি লিখেছেন জনকণ্ঠের ডেপুটি এডিটর ও চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোয়াজ্জেমুল হক। যিনি এর আগে চট্টলবীর খ্যাত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’সহ বেশকিছু বই লিখে সাড়া ফেলেছিলেন।

‘আমার কথা’য় মোয়াজ্জেমুল হক বলেছেন, ‘সাংবাদিকতায় ষাট টাকা বেতনের সিনিয়র এপ্রেন্টিস সাব এডিটর হিসাবে কাজ শুরু করে তোয়াব খান ওপরের কয়েকটি ধাপ পেরিয়েছেন সফলতার সঙ্গে। আরও পরে অধিষ্ঠিত হন সম্পাদকের পদে।

সাব-এডিটিং-এর কাজ এবং রিপোর্ট করছেন। আরও পরবর্তীতে নিয়মিত কলাম লিখেছেন।

সাংবাদিকতার কলাকৌশল নিয়ে নবীনদের জন্য দিকনির্দেশনামূলক লেখা লিখেছেন। বই লিখেছেন। স্মারক বক্তৃতা, সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। দেশে-বিদেশে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় তার সফলতার বিভিন্ন দিক প্রকাশ ও প্রচার হয়েছে। বিগত প্রায় আড়াই দশক ধরে তার নির্দেশনা ও সহযোগিতায় দৈনিক জনকণ্ঠে সাংবাদিকতায় তিনি আমার প্রধান শিক্ষক। ’

‘এদেশে নতুন আঙ্গিকের সাংবাদিকতার ধারা সৃষ্টিকারীদের তিনি একজন। স্বাধীনতা সংগ্রামের মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি ঊর্ধ্বে রেখে সাংবাদিকতাই করে যাচ্ছেন। দেশের প্রথম চার রঙা পত্রিকা এবং পাঁচ জেলা শহর থেকে একযোগে প্রকাশে মাইলফলক স্থাপনকারী দৈনিক জনকণ্ঠে শুরু থেকেই আছেন। বহুমাত্রিক সাংবাদিকতায় তার অবদান সৃষ্টিশীল ও অনবদ্য।  সাংবাদিকতার জন্য মামলা মোকদ্দমার শিকার হয়েছেন। জেলও খেটেছেন। সাংবাদিকতা যে একটি বিজ্ঞান তা তিনি প্রমাণ করেছেন। ’

মোয়াজ্জেমুল হক তোয়াব খানের জন্ম, বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে ছাত্রজীবন, কর্মজীবনের নানা দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বিশেষ করে তার নারী স্বাধীনতার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা, একাত্তরের উত্তাল মার্চে সাহসী সাংবাদিকতা, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগদান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ‘প্রেস সচিব’র দায়িত্ব পালনসহ নানান স্মৃতি, বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুককে প্রথম দেখা, বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ ইত্যাদি অনেক জানা-অজানা অধ্যায় পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। যা বইটিকে করেছে সমৃদ্ধ এবং সংগ্রহে রাখার মতো।

মাইসুন ও জায়িবকে উৎসর্গিত বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সোহেল আশরাফ খান। চলতি মাসে বইটি প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের আবির প্রকাশনের প্রকাশক মুহম্মদ নুরুল আবসার। দাম ৫০০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৭

টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।