বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান তিনি। নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার সমাপনী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম চেম্বার।
প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ কিছু করা যায়না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, এক সময় চিন্তা ছিল পায়রা বন্দরে গভীর সমুদ্র বন্দর হবে। এখন দেখা গেছে প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে কোন কিছু চলে না।
‘উইদ আউট ড্রেজিং এই হাজার বছরের চট্টগ্রাম বন্দর আজকে ১৩০ বছর উদযাপন করছে। ড্রেজিং ছাড়াই এত দূষণের পরও ৯ মিটার ড্রাফট আছে। এটা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। পায়রা বন্দরে কিন্তু ড্রেজিং করতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে যে সুবিধা অন্য বন্দরে তা পাওয়া যাবে না। ’
মহেশখালীতে তো অটোমেটিক ড্রেজিং ছাড়ায় আল্লার দেওয়া ১৮ মিটার ড্রাফট আছে। তাই সেখানেই এলএনজি টার্মিনাল হচ্ছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেছেন মাতার বাড়িতে ফ্লোটিং টার্মিনাল করতে চান। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন না, স্থায়ী টার্মিনাল হবে। সুতরাং গ্যাস আসবে এটা ধরে নিতে পারেন।
মাতার বাড়িতে এলএনজি টার্মিনাল হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি তো অন্য জায়গাতেও হতে পারতো। এটা আমাদের খুশি করতে আসেনি। মাতার বাড়িতে ১৮ মিটার ড্রাফট আছে। তাই বড় জাহাজ সেখানে ছাড়া আর কোথা ভিড়তে পারবে না। ফলে মাতার বাড়িতেই এলএনজি টার্মিনাল হচ্ছে। দিস ইস ফ্যাক্ট। এখানে ১৮ মিটার গভীরতা না থাকলে হয়তো অন্য কোথাও চলে যেত।
দেশের উন্নয়নে সরকার সজাগ এবং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম একদিন ঢাকার মতো ভাইব্রান্ড হবে। আমাদের অর্থনৈতিক শক্তি আবারও ফিরে আসবে। খাতুনগঞ্জ আগে দেশের অর্থনীতি কন্ট্রোল করতো। এখন করে না। সেদিন আবার আসছে। আমরা আবারও দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করবো।
চট্টগ্রামে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থাকা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও এখনো অবহেলিত। যত অভিধা-ই ব্যবহার করা হোক না কেন এখনো ঢাকার কাছেও যেতে পারেনি। তবে এখন দ্রুত উন্নয়ন হবে।
চট্টগ্রামের ইকনোমিক জোনগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ব্যবসা বাণিজ্য বাধাগ্রস্থ হবে উল্লেখ করে সংসদ সদস্য এমএ লতিফ বলেন, এগুলো না হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে না।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজনের জন্য একটি স্থায়ী ভ্যেনুর দাবি জানিয়ে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, স্থায়ী ভেন্যু না থাকায় আমরা সময় মতো মেলার আয়োজন করতে পারিনা। এবারও অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধিকতর ক্ষমতায়নসহ বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যরকম বিজ্ঞান বক্স, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, স্টেপ, এপেক্স হুসাইন লিমিটেড, দিল্লী অ্যালুমুনিয়াম ফ্যাক্টরী লিমিটেড, সানোয়ারা ড্রিংকস অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, বিএসএম লেড, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, পারটেক্স ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড এবং পার্টনার কান্ট্রি থাই প্যাভিলিয়নকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
এমইউ/টিসি