ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সভা-সমাবেশে ১৫ মিনিট জঙ্গিবিরোধী বক্তব্য দেয়ার আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭
সভা-সমাবেশে ১৫ মিনিট জঙ্গিবিরোধী বক্তব্য দেয়ার আহ্বান  জঙ্গিবিরোধী সভা করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান।

চট্টগ্রাম: দেড় মাস আগে অভিযান চালানো জঙ্গি আস্তানা থেকে আনুমানিক দেড়শ গজ দূরে জঙ্গিবিরোধী সভা করেছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান।  সভা শেষে সীতাকুণ্ড পৌরসভার প্রেমতলার ছায়ানীড় ভবনের এই আস্তানা পরিদর্শনও করেছেন ডিআইজি।  এই সভার মধ্য দিয়ে ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জের আওতাধীন জেলায় জেলায় জঙ্গি ও মাদক বিরোধী সভার ঘোষণা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে সীতাকুণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে এই সভার আয়োজন করা হয়।   এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।

সভায় ডিআইজি সভা-সমাবেশে কমপক্ষে ১৫ মিনিট জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা বাধ্যতামূলক করার জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের জেলা পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেন।  

সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম রেঞ্জের ১১ জেলা পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জঙ্গি দমন পুলিশের একার কাজ না।

  সর্বস্তরের জনসাধারণকে এই কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে।   আপনারা নিজ নিজ জেলায় যে কোন ধরনের সভা-সমাবেশ, ধর্মীয় সভায় যেন বাধ্যতামূলকভাবে ১৫ মিনিট জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা হয়, সেটা নিশ্চিত করুন।

‘১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি চোখ সজাগ ও সতর্ক থাকলে বাংলাদেশে জঙ্গিদের ঠাঁই হবে না।   জঙ্গিরা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক, যে খাদের মধ্যেই তারা থাকুক জনগণের সহযোগিতায় পুলিশ তাদের খুঁজে বের করবেই। ’ বলেন ডিআইজি

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সহ সভাপতি নিরুপম দাশগুপ্ত, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন এবং পৌর মেয়র বদিউল আলম।  এছাড়া সভায় চট্টগ্রামের ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। জঙ্গিবিরোধী সভায় বক্তব্য রাখছেন সিইউজের সহ সভাপতি নিরুপম দাশগুপ্ত

সভায় ডিআইজি বলেন, একাত্তর সালে যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি তারা এখনও দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।   তারা সুযোগ পেলেই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে।   দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে।  

‘একাত্তরের মহান মুক্তিসংগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে এদেশের মানুষ পাকিস্তানকে পরাজিত করেছিল।  বঙ্গবন্ধু যে পতাকা আমাদের দিয়ে গেছেন, সেটা আমরা রক্ষা করবই। পাকিস্তানের দোসর ও তাদের প্রেতাত্মারা যতই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করুক না কেন, তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। ’

সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান প্রসঙ্গে ডিআইজি বলেন, সীতাকুণ্ডে জঙ্গি আস্তানার সূত্র ধরেই আমরা সারা দেশে অনেকগুলো আস্তানা খুঁজে পেয়েছি।   স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির এখন আর আগের মতো আঘাত হানার শক্তি নাই।   এজন্য তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আস্তানা গড়ে ঘাপটি মেরে আছে।   গোপন আস্তানায় অস্ত্র-বিস্ফোরক মজুদ করছে যাতে আবারও শক্তি সঞ্চয় করে আঘাত হানতে পারে।   আমরা খুঁজে খুঁজে তাদের আস্তানাগুলো  বের করছি।

ডিআইজি আরও বলেন, জঙ্গিবাদের পাশাপাশি মাদক এখন দেশের মধ্যে আরেকটি বড় সমস্যা।   সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যাহত আছে।    

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ডিআইজি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যদি না হত, তাহলে দেশ পাকিস্তান-আফগানিস্তান হত।   কিন্তু দেশের মানুষ সেটা হতে দেয়নি।   সেটা হয়নি বলেই আমরা স্বাধীন দেশে মুক্তভাবে বাঁচতে পারছি।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে যেসব গুণ থাকা দরকার, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সব গুণই আছে।    

‍বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।