বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে নগরীর কালুরঘাট ব্রিজ থেকে শাহ আমানত ব্রিজ পর্যন্ত সিডিএর বাস্তবায়নাধীন আউটার রিং রোড (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প এলাকায় স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম এসব কথা বলেন।
এর আগে সিডিএ চেয়ারম্যান নিজে স্পিডবোট চালনা করে কর্ণফুলী নদীর তীরে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন।
এসময় তিনি এলাকাবাসীর কাছ থেকে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
৬ষ্ঠ বারের মত সিডিএর চেয়ারম্যান হিসেবে আবদুচ ছালাম নিয়োগ পাওয়ার দু’দিনের মাথায় মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) একনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আউটার রিং রোড দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছেন।
সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, প্রকল্পটিতে চারলেন বিশিষ্ট রোডের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার। কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে এ প্রকল্প এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ১২টি খালের প্রত্যেকটির মুখে পাম্পসহ জোয়ার নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা থাকবে। রিং রোড ধরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের চলাচল নিশ্চিত করা হলে শহরে আর যানজট সৃষ্টি হবে না। একই সঙ্গে রিং রোড দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ বাস্তবায়নের ফলে চট্টগ্রামের আদী ব্যবসা কেন্দ্র চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বক্সিরহাট এলাকাসহ বৃহত্তর বাকলিয়ায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান হবে।
এ ছাড়া নগরীর বাকলিয়া এলাকার উন্নয়ন বঞ্চিত বিশাল অংশ উন্নয়নের আওতায় আসবে।
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে সিডিএ চেয়ারম্যানের সাথে ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম সচিব মতিউর রহমান।
এ ছাড়াও সিডিএ‘র প্রধান প্রকৌশলী জসীম উদ্দিন চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাসান বিন শামস, নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান, প্রকল্প পরিচালক রাজিব দত্ত, নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী মোস্তফা জামান, সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭ এসবি/টিসি