প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ।
দৃষ্টির সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক শামস্ উদ দোহা, তরুণ শিল্পোদ্যোক্তা ও বিউটি কেয়ার আলোজ্জ্বার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ ফিরোজ ও রয়েল সিমেন্টের চিফ কমিউনিকেশন অফিসার প্রকৌশলী ফয়সাল নাসির খান।
সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ বলেন, তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি ও নতুন উদ্ভাবন সৃষ্টির প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত। আজকাল যারাই ব্যবসা করছেন তারা শুধু নিজেদের উন্নতির কথা ভাবছেন।
তিনি বলেন, যারা তরুণ উদ্যোক্তা তাদেরই খুঁজছে দেশ। কারণ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল।
অধ্যাপক শামস্ উদ দোহা বলেন, যারাই ব্যবসা করেন, ব্যবসা নিয়ে ভাবেন, তারা জানেন কোথায় কীভাবে টাকা বিনিয়োগ করলে মুনাফা পাওয়া যায়।
সুতরাং ব্যবসায়ীদের উচিত উঠতি উদ্যোক্তাদের সাহায্য করা।
মাসুদ বকুল বলেন, চাকরির পেছনে না ছুটে তরুণদের উচিৎ নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা। তাহলে বেসরকারিখাতে অধিক সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে যা দেশের বেকার সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ বলেন, উদ্যোক্তা তৈরির উদ্দেশ্যেই দৃষ্টি প্রতিবছর বিজনেস আইডিয়া কনটেস্ট আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাবেরশাহ, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, জুনায়েদ কৌশিক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আরফাত, সমন্বয়কারী মুজিবুর রহমান মনি ও সহসমন্বয়কারী মুন্না মজুমদার।
স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় এবারের ফাইনালের বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আমাদের শহর আমার ভাবনা’।
অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষকরা। এই প্রতিযোগিতায় সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে দৈনিকআজাদী, ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিউটি কেয়ার আলুজা।
প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রামের সব বিশ্ববিদ্যালযের ৪৫টি দল এবং স্কুল ও কলেজের ১০টি দলসহ ৫৫টি দল অংশ নিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৭
এআর/টিসি