ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রবৃদ্ধি মোকাবেলাই বন্দরের বড় চ্যালেঞ্জ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
প্রবৃদ্ধি মোকাবেলাই বন্দরের বড় চ্যালেঞ্জ চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিথিরা। ছবি: সোহেল সরওয়ার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভিড়েছিল ২ হাজার ৭০৯টি। এর বিপরীতে ২০১৬ সালে জাহাজের সংখ্যা ৩০৫টি বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৪তে। এতে বেড়ে গেছে কার্গো ও কন্টেইনারের সংখ্যাও। ফলে ক্রমবর্ধমান এই প্রবৃদ্ধি মোকাবেলা করাই এখন চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।   

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০ বছর পূর্তি ও দুই দিনের পোর্ট এক্সপো উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল। শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান জানান, ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ কোটি ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৯ মেট্রিক টন কার্গো, ২০ লাখ ২৪ হাজার ২০৭ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে। ২০১৬ সালে ৭ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ মেট্রিক টন কার্গো, ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৯ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়।

২০১৬ সালে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং এর প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ এবং কার্গো হ্যান্ডেলিং এর প্রবৃদ্ধি ১৭ শতাংশ।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, কার্গো, কন্টেইনার ও জাহাজের প্রবৃদ্ধি সামাল দেওয়া চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি।

প্রবৃদ্ধি মোকাবেলায় সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরের স্ট্রাটেজিক মাস্টার প্ল্যানের ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নির্মাণের ৯ বছর পরও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে এটি চালু করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ টার্মিনালের যন্ত্রপাতি সংগ্রহের কাজ শুরু করি। বিগত কয়েক মাসে ১১টি আরটিজি সংগ্রহের কাজ চূড়ান্ত করেছি। চারটি স্ট্যাডাল কেরিয়ার ও পাঁচটি কন্টেইনার মোভার সংগ্রহের চুক্তি হয়েছে। একটি গ্যান্ট্রি ক্রেন কেনার জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এসব যন্ত্রপাতি শিগগির বন্দরে পৌঁছাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য ছ’টি শিপ টু শোর গ্যান্ট্রি ক্রেন কিনতে দরপত্র আহ্বান করেছি। এখন দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং প্রকল্পের কাজ মামলার জন্য আটকে থাকলেও ড্রেজিং এর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত ড্রেজিং করতে ডিপিপি প্রণয়ন করেছি। আশা করছি শিগরির অনুমোদন দেবে সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য জুলফিকার আজিজ, মো.জাফর আলম, শাহীন আলম, পরিচালক পরিবহন গোলাম সরওয়ার, প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) নাজমুল হক সহ বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭

এমইউ/টিসি    

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।