এই তিনটি কারণেই নগরে জলাবদ্ধতা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই না করে বিভিন্ন সময়ে জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা সফল হয়নি। জলাবদ্ধতা নিরসনে মাঠ পরিদর্শন ও খালের উভয় পাড়ে বসবাসরত বাসিন্দারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
২০০৫ সালের আগে নগরীতে জলাবদ্ধতা ছিল না জানিয়ে জামাল হোসেন বলেন, ২০০০ সালে তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী পতিত বর্জ্য অপসারণে স্প্রে মেশিন কিনেছিলেন।
মহিউদ্দিনের পর যারাই মেয়র হয়েছেন তারাও একই পথে হাটার কারণে জলাবদ্ধতা নিরসন হচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম ও বর্তমান মেয়রও মাঠ পর্যায়ে না গিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ফলে কাজের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
সমতল থেকে খালের রিটেইনিং ওয়াল ৩ থেকে ৪ ফুট উঁচু হওয়ার কারণে খালে পানি পড়ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগরীর সব শাখা খালের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চাক্তাই খালে পানি পড়ছে না।
তিনি বলেন, ভরাট ও অবৈধ দখলের কারণে মির্জা খাল, চট্টেশ্বরী খাল, নালি খাল, কলাবগিচা খাল, চশমা খাল, ডাইভারশন খাল ও বদর খালের পানি চাক্তাই খালে পড়তে পারছে না। অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণের মতো সাহসী অভিযান চালিয়ে এসব খাল-নালা উদ্ধার করতে হবে।
চাক্তাই খালের তলাপাকা করার পর থেকে মাটি অপসারণ হয়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, খালের উভয় পাড়ের বাসিন্দাদের বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় মানুষের ভোগান্তি কমবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এমইউ/টিসি