ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিচু ব্রিজে ময়লার স্তুপ, বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
নিচু ব্রিজে ময়লার স্তুপ, বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ নিচু ব্রিজে ময়লার স্তুপ, বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: ‘এখন তো বৃষ্টি নেই। বৃষ্টির সময়ে আসলে বুঝতেন। আমরা এখানে কত কষ্টে থাকি। বৃষ্টি হলেই দোকানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। প্রায় সময় নালা পরিষ্কার করলেও দুর্ভোগ শেষ হয় না।’

সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর বাকলিয়া খালপাড় এলাকার ব্যবসায়ী মো. খালেদ বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।

খালেদ বলেন, ‘চকবাজার থেকে খালপাড় হয়ে ময়লা কর্ণফুলি নদীতে গিয়ে পড়ছে।

খালপাড়ের সবুজবাগ, রসুলবাগ এলাকায় হাজারো মানুষের বসতি। নালার দু’পাশের সড়ক দিয়ে সকলেই যাতায়াত করে।
বৃষ্টি না হলে তেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় যদি জোয়ারের পানি চাকতাই খাল হয়ে এ এলাকায় আসলে রাস্তায় হাটু সমান পানি উঠে যায়। জোয়ার শেষে পানি অনেকাংশে চলে যায়। তবে বৃষ্টি হলে আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। সড়ক, দোকানপাট ও বাসা-বাড়িতে পানি উঠে যায়। ’

নগরীর পশ্চিম বাকলিয়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ আবাসিক এলাকার মূল সড়কই নালার পাশে। এ সড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতেই চোখে পড়ল নালার উপর বেশ কয়েকটি নিচু ব্রিজ। যে ব্রিজের নিচে ময়লার বিশাল স্তুপ। যে স্তুপে পলিথিনের আধিক্যই বেশি। চকবাজার এলাকার ময়লাগুলো এ নিচু ব্রিজে এসে আটকে আছে।

বাকলিয়ার সবুজবাগ আবাসিক এলাকার শাহানাজ ভিলার সামনেই ব্রিজটির অবস্থান। ব্রিজের পাশ দিয়ে বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আধুনিক কিন্ডার গার্ডেন, আল কুরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাসহ এলাকার হাজারো বাসিন্দা প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করছে।
নিচু ব্রিজে ময়লার স্তুপ, বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ।  ছবি: সোহেল সরওয়ার
তবে ভিন্ন কথা জানিয়েছেন একই এলাকার সুজিত নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি বাংলানিউজকে জানান, ‘নালার ময়লা পরিষ্কার করে না, তাই বলা ঠিক হবে না। কেননা প্রায় সময়ই খাল  ও নালা পরিষ্কার করা হয়। যদিও কয়েকদিন পর চকবাজার থেকে ময়লার ভাগাড় এসে তা আবার পুরনো রূপ ধারণ করে। সুষ্ক মৌসুমে না এসে বর্ষা মৌসুম আসার আগে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে লোকজন ময়লা পরিষ্কার করতে আসে। পরিকল্পিতভাবে বর্জ্য পরিষ্কার না করায় সারাবছরই এ দূরাবস্থা। দেখার যেন কেউ নেই। ’

তিনি আরও বলেন, ‘খালের পাশের সড়ক উচু করলেও এলাকার বাড়িঘর দোকানপাট তো উচু হয়নি। তাই বৃষ্টি হলেই এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে সুষ্ক মৌসুমে বর্জ্য পরিষ্কার করলে কিছুটা এর সুফল পাওয়া যেতো। ’
নিচু ব্রিজে ময়লার স্তুপ, বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ।  ছবি: সোহেল সরওয়ার
নইলে সারাজীবনই এ এলাকার দুর্ভোগ থেকে যাবে বলেন মন্তব্য করেন তিনি।

কিছুদূর যেতেই খালপাড়ের হকভিলার সামনে চোখে পড়ল নালার মাঝখানে মাটি ভরাটের দৃশ্য। বৃষ্টির পানির সাথে মাটি এসে ভরাট হয়েছে। হাজী ম্যানশনের সামনে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে নালা পারাপার করতে দেখা গেছে। এ বাঁশের সাঁকোতেও ময়লা জমাট হয়ে থাকতে দেখা গেছে। নালার বাম পাশে সড়ক সংস্কারেরও কাজ চলছে।

তবে স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ‘এ খালে আগে এতো ময়লা জমে থাকতো না। বাসাভাড়া কম থাকায় এই এলাকায় বর্তমানে ঘনবসতি। পলিথিনে করে এলাকার ভাড়াটিয়া ও দোকান মালিকেরা বর্জ্য সরাসরি খালে ফেলছে। এতে খাল ভরাট হয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।