সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৭টায় চকবাজারের ধুনিরপুল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ বাবুল বাংলানিউজকে এসব কথা বলেন।
বাবুল বলেন, 'নালা অপরিষ্কার, যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা ফেলে নালা ভরাটের কারণে সারাবছরই ধুনিরপুল এলাকার দুঃখ গেল না।
'বিশেষ করে চকবাজার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীরা কাপাসগোলা হয়ে আসা নালায় যত্রতত্র আর্বজনা ফেলায় নালায় জ্যাম হয়ে যায়। এতে বৃষ্টি হলেই ময়লাগুলো জমাট হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
নালায় দু'ধারে দেখা যায়, পলিথিন, চিপসসহ এই এলাকার নানা বর্জ্য নালার উপরে পড়ে আছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্কাবেলটর নালার উপর পড়ে আছে।
চকবাজার কাঁচাবাজারের এক যুবক নালায় সরাসরি ময়লা ফেলতে দেখা গেছে। অথচ ধনিরপুলের পাশাপাশি চসিকের একটি ডাস্টবিন আছে। চকবাজার কাঁচাবাজার এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চাকতাই খালে গিয়ে দেখা যায়, পলিথিন ও বর্জ্যে ভরাট হয়ে আছে খালটি। ধুনির পুলের পাশেই খালের বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি স্কেবেটর পড়ে আছে।
সুজিত নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি বাংলানিউজকে জানান, ‘সারাবছরই এ এলাকার অবস্থা এমনই থাকে। তবে বেশি বৃষ্টি হলে ধুনিরপুল এলাকাসহ আশপাশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কাপালগোলা এলাকার নালা থেকে বর্জ্য এসে চকবাজারের চাকতাই খালের মোহনায় এসে মিশে। নালাগুলো এলাকাভিত্তিক যদি পরিষ্কার করা হতো, তাহলে চাকতাই খাল এভাবে ভরাট হয়ে যেতো না। কেননা, নালা থেকেই পলিথিনসহ নানা বর্জ্য খালে এসে পড়ছে। এতে খাল ভরাট হয়ে পানি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ’
চকবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাকতাই খালে জোয়ারের পানি আসা যাওয়া করলেও বিভিন্ন স্থানে পলিথিনের স্তুপের সাথে জমাট হয়ে খাল সংকুচিত হয়েছে। এতে খালে পানি আসা যাওয়ার বিঘ্ন ঘটছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪১ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এসবি/টিসি