শহরের একাংশের বর্জ্য চকবাজার, দেওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আটকে যায় মাস্টাপুলের নিচের তিনটি পাইপে। এতে জোয়ারের পানি, বৃষ্টির পানি কোনটিই স্বাভাবিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে না।
ভোরে এলাকায় গিয়ে মাস্টারপুলেরর নিচে লোহার বড় তিনটি পাইপ দেখা গেছে। এসব পাইপে আটকে আছে বিভিন্ ধরনের গৃহস্থালি বর্জ্য, পলিথিন, বড় বড় সোলা, ছোট, বড় কাপড়ের টুকরো, মশারি এই ধরনের পরিত্যক্ত নানা কিছু। পাইপগুলো সেতু থেকে কমপক্ষে পাঁচ ফুট নিচে একেবারে পানির স্বাভাবিক প্রবাহস্তরের সঙ্গে লাগানো অবস্থায় আছে।
চাক্তাই পাড়ের খলিফা পট্টির বাসিন্দা রিকশাচালক আক্তার হোসেন জানান, তিনটি পাইপের মধ্যে একটি গ্যাসের, একটি ওয়াসার এবং আরেকটি পরিত্যক্ত বলে তারা জানেন। সেতুটি নির্মিত হয়েছে চার বঝর আগে। এর আগে লোহার সেতু ছিল। তখন পাইপগুলাে উপরে ছিল। এতে ময়লা আবর্জনা সহজেই চলে যেত।
পাকা সেতু নির্মাণের পর পাইপগুলো নিচে নামিয়ে দেয়ায় বর্জ্য আটকে থাকার বিষয় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু চার বছরেও পাইপগুলো সরানো হয়নি।
মাস্টারপুলের খালেদ কলোনির বাসিন্দা রিকশাচালক বাবুল সরকার বাংলানিউজকে বলেন, চকবাজার ধুনিরপুলের পর থেকে সব আবর্জনা এসে মাস্টারপুলে আটকে যায়। সেগুলো আর সাগরে যেতে পারে না। পাইপ না সরালে কোন লাভ হবে না।
' সারাদিন আতংকে থাকি। জোয়ার আসলে ঘরে ময়লা ঢুকে যায়। বৃষ্টি হলে মল পর্যন্ত ঘরে ঢুকে যায়। তিনটা পাইপ সরালে আমাদের এই কষ্ট থাকতো না। তিনটা পাইপ সরাতে কত বছর লাগবে জানি না। '
খালেদ কলোনির বাসিন্দা আল আমিন বলেন, পাইপের কারণে ময়লা আটকাচ্ছে, এটা ঠিক আছে। ময়লাগুলো কখনো পরিস্কার করা হয় না। যদি নিয়মিত পরিস্কার করা হত, এই সমস্যা হত না।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৬ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
আরডিজি/টিসি