সোমবার (২৪ এপ্রিল) কাজেম আলী সড়কের মাস্টারপুল এলাকার বাসিন্দা মো. আজম চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো বলছিলেন।
খালপাড়েই শাহরিয়ার কলোনি, সোহেল কলোনি, শাহিন কলোনিসহ আশপাশে শত শত নিম্নআয়ের লোকজনের বাস।
আলী আহমদ (৬৫) ও আবুল কাসেম (৪৫) দুই জনেরই একই কথা, ‘একেকটি কাঁচাঘরের ভাড়া আড়াই-তিন হাজার টাকা। তারপরও এখানে থাকি, কারণ এর চেয়ে কমে আর কোথাও ঘর পাই না। ’
সোহেল কলোনির হোসনে আরা জানালেন, শুক্রবার ঘরের ভেতরে পানি হাঁটু ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। পানি নামে ঘণ্টা তিনেক পর। কিন্তু এখনো ভেজা কাঁথা-বালিশ শুকায়নি।
অনেকেই তাদের পুরোনো ভেজা কাঁথা খালেই ফেলে দিয়েছেন।
শাহরিয়ার কলোনির ভাড়াটিয়া আবদুর রহমান (৬০) বাংলানিউজকে বলেন, ১৫ বছর ধরে এ এলাকায় আছি। সুখ নাই। মাস্টারপুলের নিচে গ্যাস-ওয়াসার পাইপলাইনে কাপড়, মশারি, প্লাস্টিক বস্তা আটকে খালের উত্তরপাড়ে আবর্জনার ভাগাড় হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি ঢুকে যায়।
আরেকজন বাসিন্দা জানান, গত বছর একবার মাস্টারপুলের উত্তর পাশের আবর্জনার স্তূপ পরিষ্কার করেছিল সিটি করপোরেশন। তা-ও খালের মাঝখান থেকে স্ক্যাভেটার দিয়ে খালের পূর্বপাশে গাইডওয়াল ঘেঁষে রেখেছিল। এবার তা-ও করা হয়নি।
মাস্টারপুলের পাকা ব্রিজের উত্তর পাশে আরেকটি সেতু হয়েছে বর্জ্যের। ওপরে বর্জ্য-আবর্জনা জমে এমন পুরুত্ব বেড়েছে দিব্যি হাঁটাচলা করতে পারে টোকাই, কুকুর, শিশুরা আক্ষেপ করে একজন বললেন, কয়েকবার আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলাম। খুব বেশি পোড়েনি। এমন অভিশপ্ত ময়লা!
উজান থেকে ভেসে আসা ময়লা আটকে মাস্টারপুলে যে বর্জ্যের ভাগাড় জমেছে তাতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে স্থানীয় অসচেতন মানুষ। নির্বিচারে ময়লা ফেলছেন তারা।
শাহরিয়ার কলোনির বাসিন্দারা জানান, স্থানীয়রা যেসব গৃহস্থালি বর্জ্য, তরকারির উচ্ছিষ্ট খালে ফেলছেন সেটি 'দইজ্জার বুকত ব্যাঙে পেসাব' করার মতো।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
এআর/টিসি/এমএমকে