লালদীঘিকে ঘিরে বসেছে বিভিন্ন চারাগাছের দোকান। সঙ্গে আছে বাঁশা ও বেতের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রিও।
লালদীঘির পূর্ব পারে বাঁশ ও বেতের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে বসেছেন সাতকানিয়ার নুরুল হক।
তার সেই দোকানে আছে, মোড়া, কুলা, ঝুড়ি, ফাঁদ, ডোল, চাটাই থেকে শুরু করে মাছ ধরার পলো, হাঁস-মুরগীর খাঁচা, শিশুদের ঘুম পাড়ানোর দোলনা। সঙ্গে খোল, চাটাই, খালুই, ধামা, দোয়াড়, আড়ি, টোনা, আড়, হাপটা, পাল্লা, মোড়া, বুকসেলফ ইত্যাদি-ইত্যাদি। যেন গ্রামীণ ঐতিহ্যর সবকিছুই।
নুরুল হক বললেন, ‘এই মেলার জন্য প্রস্তুতি শুরু করি কয়েক মাস আগে থেকেই। বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঁশ ও বেত সংগ্রহ করি। পরে আমরা মিলে এসব জিনিসপত্র তৈরি করি। তারপর নিয়ে আসি মেলায় প্রাঙ্গণে। ’
একশ পদের চুড়ি নিয়ে ঢাকা থেকে এসেছেন লাকি আক্তার। তিনি বসেছেন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের সড়কে।
লাকি আক্তার বলেন, ‘আমি চারবছর ধরে মেলায় আসছি। প্রতিবারের মতো এবারও চুড়ি নিয়ে এসেছি। প্রায় ১০০ পদের চুড়ি নিয়ে এসেছি। ’
তবে মেলায় বেশি দেখা গেছে-পোড়ামাটির জিনিসপত্র। ফুলদানি-টব থেকে মাটির তৈরি জিনিসের তালিকায় আছে টেরাকোটা, শোপিস, মাটির ব্যাংক, অ্যাশট্রে, বড় চাড়ি ছোট বাটি, ঘণ্টি, আয়না, মাটির থালা-বাসন। সবমিলিয়ে ১০০ এর উপর পদ।
হকার্স মার্কেটের সামনে এসব পদ নিয়ে বসেছেন কুমিল্লার আলমগীর হোসেন। আলমগীর জানান, এটি তার পঞ্চমবারের মতো মেলায় আসা। প্রতিবারের ন্যায় এবারও ভালো বিক্রি হবে-তাই আশা তার।
আলমগীর হোসেন নামের আরেক ব্যবসায়ী ঢাকা থেকে এসেছেন পাট ও সুঁতির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে।
এছাড়া ফুলের ঝাঁড়ু, খাট, বাঁশের তৈরি পাকা-বাঁশি সহ নানান জিনিস পত্রের পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বলতে গেলে একদিন আগেই জমে উঠেছে মেলা।
মেলা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘মূল মেলা শুরুর একদিন আগেই শুরু হয়ে গেছে মেলা। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা তাদের জিনিসপত্র নিয়ে চলে এসেছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৭
টিএইচ/টিসি