ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরেছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭
‘কওমি সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরেছে’ উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখছেন মাহবুবুল আলম হানিফ (ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম)

চট্টগ্রাম:  আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরেছে।

শনিবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি নিয়ে ইসলামী দলগুলোর দীর্ঘদিনের যে দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী সেটা মেনে নিয়েছেন।  কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এর ফলে ইসলামী দলগুলো যখন শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখতে শুরু করেছে তখন বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।

‘বিএনপির অন্তরে ধর্ম নেই।

মুখে ধর্মের কথা বলে তারা ফায়দা লুটতে চায়।   এই অশুভ শক্তি উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’

হানিফ বলেন, শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।   ২০১৯ সালের নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী করে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনতে হবে।  

একই সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ না হলে শত্রুর সঙ্গে মোকাবেলা করতে পারব না।   যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতাম, ১৯৯১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতাম। সেদিন আমাদের লোকেরাই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। এখানে মহিউদ্দিন চৌধুরী নৌকা মার্কায় বিএনপির নোমান সাহেবের বিরুদ্ধে ইলেকশন করেছিলেন।   তিনি ১২০০ ভোটে হেরেছিলেন। অথচ কাস্তে মার্কা নিয়ে একজন দাঁড়িয়েছিলেন যিনি ৪ হাজার ভোট পেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, বিএনপির কোন সাংগঠনিক শক্তি নেই।   তাদের একমাত্র শক্তি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।   স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি নিয়েই তারা শক্তিশালী।  স্বাধীনতার পর দেখেছি,  যারা স্বাধীনতাবিরোধী তারা ছিল জাসদের শক্তি।  আসুন আজকের দিনে সেই ইহিতাস ভুলে যায়।   এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের নিয়ে আছে।  তাদের নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেন, দলে অনেক অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে।  তারা দলের ভেতরে বিভেদ-বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।  দল এখন ক্ষমতায় আছে। অনেকে দলে যোগদান করতে চায়।  যোগদানের সময় একটু ভেবেচিন্তে নিতে হবে। যাকে-তাকে দলে নেয়া যাবে না।

এনামুল হক শামীম বলেন, ২০১৯ সালের নির্ব‍াচনের আগে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য প্রতিনিধি সভা করছি। আমরা উপজেলায়-উপজেলায় যাব। আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, পৃথিবীর কোন শক্তি নেই যে আওয়ামী লীগকে হারাবে। শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী করার জন্য যা যা দরকার করব।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম সহ-সভাপতি ও রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।    

নগরীর পাঁচলাইশে কিং অব চিটাগং কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালামের সঞ্চালনায় তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে ২৫ জন বক্তব্য রাখেন।

মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কেন্দ্রীয় উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।