ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘ছাত্রলীগ নামধারী অছাত্রদের কর্মকাণ্ডে আমরা লজ্জিত’

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
‘ছাত্রলীগ নামধারী অছাত্রদের কর্মকাণ্ডে আমরা লজ্জিত’ ছাত্রলীগের বিবৃতির সঙ্গে পাঠানো আউটার স্টেডিয়ামের ছবি

চট্টগ্রাম: নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত নগর ছাত্রলীগের একাংশের নেতারা আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিং পুল নির্মাণকে ঘিরে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে বিবৃতি দিয়েছেন।

নগর ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সনেট চক্রবর্তীর নামে পাঠানো ওই বিবৃতিতে বলা হয়ে, আমাদের কিছু ছাত্র নামধারী, তথাকথিত পদ আঁকড়ে থাকা কিছু বখে যাওয়া ছাত্রদের অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশের কারণে আমাদের প্রিয় চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। যারা এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে, সেই সমস্ত কিছু ছাত্রলীগ নামধারী অছাত্রদের কর্মকাণ্ডে আজ আমরা লজ্জিত এবং বিব্রত।

আজ যখন একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এবং মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এই চট্টগ্রামকে জঙ্গি ও মাদকমুক্ত নগরীতে পরিণত করতে অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই এক অপশক্তি ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কিছু অছাত্রদের দ্বারা উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। দীর্ঘ তিন-চার বছরের চেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী স্ব-ইচ্ছায় প্রায় ১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৪০ বর্গফুটের জায়গায় আধুনিক সুইমিং পুল নির্মাণের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

যা জেলা ক্রীড়া সংস্থা বাস্তবায়ন করছে।

ঠিক সেই সময় কিছু চিহ্নিত অছাত্র মানববন্ধনের নাম করে হাতে লাঠি, কিরিচ এবং দেশীয় অস্ত্রসহ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে জনসাধারণের যান-মালের ক্ষতি সাধন করে, তারা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে লালিত-গৌরবময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর অংশ হতে পারে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো সদস্যের পক্ষেই কখনো সম্ভব নয় আমাদের দেশপ্রেমিক পরীক্ষিত পুলিশ ভাইদের আঘাত করা। যারা কিনা পুরো দেশকে জঙ্গিবাদ মুক্ত করতে নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ওপর কিছু ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের হামলা কখনই ছাত্রলীগ বরদাস্ত করবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, আউটার স্টেডিয়ামের যে অংশে সুইমিং পুল হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে খেলার মাঠ আর থাকবে না। অথচ সুইমিং পুলের যে নকশা অনুমোদিত হয়েছে তাতে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে যে, মাঠের এক কোনায় সুইমিং কমপ্লেক্স আর বাকি পুরো অংশ খেলার মাঠ হিসেবে এখনো উন্মুক্ত। চট্টগ্রামের সচেতন প্রতিটি মানুষই জানে যে স্থানে সুইমিং পুল হচ্ছে তা বিগত ১০ বছর ধরে অশ্লীল ভ্যারাইটি শো’র দখলে আছে। ওই ভ্যারাইটি শোর গোড়াপত্তন বাংলাদেশ করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সুইমিং পুল নির্মাণের পরও আগের মতো খেলার উপযোগী পর্যাপ্ত জায়গা থাকবে। প্রতিবছর মেলার নামে জুয়া ও ভ্যারাইটি শোর আসর রক্ষা করতে যারা বিশ্ববরেণ্য ক্রিকেটারদের নাম জড়িয়ে আবেগী কথা বলে, জনগণের চোখে ধূম্রজাল তৈরি করে, চট্টগ্রামের অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করতে চায়, সেই সমস্ত ছাত্র নামধারী তথাকথিত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইফুল আলম লিমন, ইয়াছির আরাফাত, সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তাহের, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ফয়সাল বাপ্পি, হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মো. ইউনুচ, নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমতিয়াজ বাবলা, মিথুন মল্লিক, নাজিম উদ্দিন রাসেল, রেজাউল আলম রনি, মহিউদ্দিন মাহি, রোকন উদ্দিন রানা, সরওয়ার উদ্দিন, দিদারুল আলম, মোহাম্মদ শাকিল, এম কায়সার উদ্দিন, রাশেদুল করিম, জাহেদুল হক চৌধুরী মার্শাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেলসহ শতাধিক নেতার নাম ছিল বিবৃতিতে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭

এআর/টিসি

 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।