নগরীর ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে তাদের থানায় নুরু হত্যার বিষয়ে কোন মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন। জেলার মধ্যে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে আদালতকে জানিয়েছেন, পরিবার মামলা করতে রাজি না হওয়ায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) প্রতিবেদনগুলো চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরানের আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আদালতকে বলেছি, রাউজান থানার প্রতিবেদন নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে।
গত ১১ এপ্রিল নুরুকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন তার স্ত্রী সুমি আক্তার। দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় করা এই অভিযোগে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদালত এই অভিযোগকে মামলা হিসেবে গ্রহণের আগে নগরী এবং জেলার কোন থানায় এই সংক্রান্ত কোন মামলা হয়েছে কি না তা জানাতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
গত ৩০ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামের খেলাঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে নুরুর ‘গুলিবিদ্ধ’ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নুরুর পরিবার ও বিএনপি-ছাত্রদলের দাবি, নুরুকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেছে পুলিশ।
নুরুর বাড়ি রাউজান উপজেলার গুজরা ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের কমলার দিঘীর পাড় এলাকায়। নুরু উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মরদেহ উদ্ধারের আগের দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে নুরুকে নগরীর চকবাজার থানার চন্দনপুরা এলাকায় তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছিল তার পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
আরডিজি/টিসি