এসব মৌসুমি ফল ও আচার বিক্রি করেই সংসার চলে তার। ২৩ বছর ধরে শাটলের বগিতে বগিতে শিক্ষার্থীদের কাছে এভাবেই ফল ও আচার বিক্রি করছেন তিনি।
সময়টা ১৯৯৪ সাল। তখন ইলিয়াসের বয়স কতোই-বা হবে।
ছোট বয়সেই বাবাকে হারান। সেই থেকে সংসারের হাল ধরেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে মৌসুমি ফল বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়েই কোনভাবে সংসার চালান। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর রেলক্রসিং এলাকায় মা, দুই ভাই ও এক বোনকে নিয়ে থাকছেন ইলিয়াস।
শিক্ষার্থীদের কাছে আমের চাটনি-বরইয়ের আচার বিক্রির একফাঁকে ইলিয়াস জানান, শাটল ট্রেনের বগিতে বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও আচার বিক্রি করি। শিক্ষার্থীরাও এসব পছন্দ করেন। আগে মৌসুমি ফলের আচারের সঙ্গে পান-সিগারেটও বিক্রি করতাম। পরে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করে দেই। এখন শুধু আচার আর ফল বিক্রি করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়ের চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ইলিয়াস ভাইতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটলে এক নামে পরিচিত। যখন যে মৌসুম তখন সেই মৌসুমের ফলের আচার, চাটনি নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হন। খুবই নম্র-ভদ্র মানুষ। অল্প দামে ফলের চাটনিগুলো তার কাছ থেকে কিনে খাওয়া যায়।
বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী উম্মে সালমা বলেন, প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শাটলে তাকে দেখছি। আমরাতো এমনিতে আচার পছন্দ করি। ক্লাস শেষে শাটলে যাওয়ার পথে ইলিয়াস ভাইয়ের তৈরি করা আচার খেতে অনেক ভাল লাগে।
ফল ও আচার বিক্রি করতে অনেক সময় সমস্যা হয় জানিয়ে ইলিয়াস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে শাটলে শিক্ষার্থীরা থাকে না। তখন সমস্যায় পরতে হয়। কারণ আচার বিক্রি করতে পারি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৭
জেইউ/আইএসএ/টিসি