ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে ‘গুলি করে হত্যার’ অভিযোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭
ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে ‘গুলি করে হত্যার’ অভিযোগ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আলম নুরু

চট্টগ্রাম: নগরী থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল আলম নুরুকে (৪৫) মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  বিএনপির অভিযোগ, জেলা পুলিশের একটি টিম তাকে তুলে নিয়ে যাবার পর এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।  পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

তবে রাউজানে কর্ণফুলী নদীর তীরে উপুড় হয়ে থাকা একটি মরদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।   বিএনপি ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এই মরদেহ নুরুর বলে দাবি করছেন ফেসবুকে।

 

সকাল থেকে ফেসবুকে এই ছবি দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বাংলানিউজকে বলেন, কোন মরদেহ উদ্ধার কিংবা পড়ে থাকার খবর আমার জানা নেই। আমার সামনে ওসিরা সবাই বসে আছেন।

  তারাও তো আমাকে কিছু জানাননি।

কর্ণফুলী নদীর তীরে এই মরদেহের বিষয়ে জানতে রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া থানায় এবং জেলা পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।  পুলিশ বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করছেন।

নুরু উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক।   বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন।

চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নুরু বিএনপির কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও রাউজানের সাবেক সাংসদ গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

গিয়াসউদ্দিন কাদের বাংলানিউজকে বলেন, গত (বুধবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশের একটা সশস্ত্র টিম চকবাজারের কাতালগঞ্জের বাসা থেকে নুরুকে তুলে নিয়ে গেছে।   টিমের কয়েকজন জেলা পুলিশের ইউনিফর্ম পড়া ছিল।   কয়েকজন ছিল সিভিল পোশাকে।   রাউজান থানার নোয়াপাড়া ফাঁড়ির এস আই জাবেদ টিমের নেতৃত্ব দেয়।  

‘এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) তার লাশ পাওয়া গেছে বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলার ঘাট এলাকায়।   নদীর পাড়ে পড়ে ছিল লাশ।   মাথায় সরাসরি গুলি করেছে।   মাথা একেবারে থেতলে গেছে।  আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটাই নুরুর লাশ। ’ বলেন গিয়াসউদ্দিন কাদের

তিনি বলেন, নুরুর বিরুদ্ধে মামলা থাকতে পারে।   তাকে গ্রেফতার করা হোক।   প্রয়োজনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।   কিন্তু একজন স্বাধীন দেশের নাগরিককে পুলিশ রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে মেরে ফেলবে, এটা কেমন দেশ।   আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।