ওসাপের রিসার্চ কোঅর্ডিনেটর শঙ্কর দাশ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি ভ্যাকুটাগ এক ট্রিপে ৪ হাজার লিটার মানববর্জ্য পরিবহন করতে পারবে। ২০১৬ সালের গ্রীষ্মকালে নগরীর উচ্চ, মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির ১ হাজার ৩৫০টি খানার (ঘর) সেপটিক ট্যাংক জরিপ করে আমরা জানতে পেরেছি গড়ে ১৬-২০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার সেপটিক ট্যাংক রয়েছে।
তিনি জানান, চট্টগ্রামে স্যুয়ারেজ লাইন না থাকায় বর্তমানে বেশিরভাগ বাসা-বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের মানববর্জ্য সনাতনী পদ্ধতিতে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে পরিষ্কার করে নালায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
ওসাপের কর্মকর্তা নির্ঝর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২৭ জন উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলেছি আমরা ভ্যাকুটাগ পরিচালনার জন্য। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সেবা সংস্থাকে যোগ্য মনে হয়েছে। আমরা আশা করি, উচ্চবিত্ত পরিবারের সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে লিটার প্রতি দেড় টাকা থেকে পৌনে দুই টাকা এবং গরিবদের ক্ষেত্রে ৫০ পয়সা নেওয়া হতে পারে।
আমরা আশা করছি, ভারতের টাটা চেসিস’র সঙ্গে মিরপুরের কারখানায় ওসাপের তত্ত্বাবধানে তৈরি বডি ও ট্যাংকের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে ভ্যাকুটাগ। প্রতিটি গাড়িতে থাকছে স্বয়ংক্রিয় পাম্প। যা ট্যাংক থেকে তরল ট্যাংকে ফেলবে এবং ট্যাংক থেকে নির্ধারিত স্থানে বের করে দেবে। একটি ভ্যাকুটাগ মাসে ৮৪ ট্রিপ দিতে পারবে। এক্ষেত্রে ৩ লাখ ৩৬ হাজার লিটার মানববর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে। চট্টগ্রামের জনসংখ্যা অনুযায়ী ১২-১৫টি ভ্যাকুটাগ দরকার।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু বাংলানিউজকে জানান, দুটি ভ্যাকুটাগ হস্তান্তরের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও কারখানার সেপটিক ট্যাংক থেকে সংগৃহীত মানববর্জ্য চসিকের হালিশহর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ওই বর্জ্য পরিশোধন করে পানি নালায় ফেলে দেওয়া হবে। কঠিন বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি হবে। এক কেজি জৈব সার বর্তমানে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকাকালে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারের জন্য বিশেষ ট্যাংকবাহী গাড়ি, পাম্প কেনা হয়েছিল। সেটি এখনো কার্যকর রয়েছে। তবে ট্যাংক, পাম্প, গাড়ি তিনটি আলাদা। বর্তমানে চসিক লিটার ১ টাকা দরে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
এআর/টিসি