ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘একুশ’ যাবে কার জিম্মায়, আদেশ আসবে বুধবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
‘একুশ’ যাবে কার জিম্মায়, আদেশ আসবে বুধবার ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক একুশ

চট্টগ্রাম: ডাস্টবিনে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক ‘একুশকে’ জিম্মায় নেয়ার আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে।  আদালত বুধবার (২৯ মার্চ) এই বিষয়ে আদেশ দেবার সময় নির্ধারণ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু বিষয়ক বিশেষ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌসের আদালতে ১৬ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১২ জনের আবেদনের উপর শুনানি হয়।   বাকি চারজন অনুপস্থিত ছিলেন।

 

এসময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ও অতিরিক্ত মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট এম এ ফয়েজ আবেদনকারীদের মধ্যে যেসব নারীর মা হবার সম্ভাবনা নেই এবং যেসব দম্পতি নি:সন্তান তাদের কারও হাতে একুশের দায়িত্ব দেয়ার আবেদন জানান।

আদালত শুনানির সমাপ্তি ঘোষণার আগে বলেন, শিশুটিকে দত্তক দেয়ার এখতিয়ার আদালতের নেই।

  আদালত শুধু জিম্মায় দেয়ার এখতিয়ার রাখে, তা-ও ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত।   এর মধ্যে যদি শিশুটির প্রকৃত মা-বাবা এসে তাদের সন্তানকে জিম্মায় রাখতে সম্মতি দেয় তাহলে ১৮ বছর পর্যন্ত রাখা যাবে।

অতিরিক্ত মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট এম এ ফয়েজ বাংলানিউজকে বলেন, অনেক আবেদনকারী তাদের আবেদন দত্তক শব্দটি উল্লেখ করেছেন।   শিশু আইনের ৬৮ ধারায় আদালতকে জিম্মায় দেয়ার কথা বলা হয়েছে।   এজন্য আদালত দত্তক এবং জিম্মায় দেয়ার বিষয়ে একটা ব্যাখা দিয়েছেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে যাদের আবেদনের উপর শুনানি হয়েছে তারা হলেন, গৃহিনী জেসমিন আক্তার, শিক্ষিকা লুবনা ইয়াসমিন, ডা. শাকিলা আক্তার, আইনজীবী চুমকি চৌধুরী, শাহিদা জাহান, শাহানার আক্তার, ইয়াসমিন আক্তার, শবনম শারমিন, পুলিশের এস আই পারভিন, গৃহিনী জান্নাতুল ফেরদৌস, ইসরাত জাহান এবং গুলশান আক্তার।

আবেদন করেও আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন নাসিমা বেগম, রুকসানা আক্তার, মনসুর আলম চৌধুরী ও এসআই মো. সাইফুল্লাহ।

আবেদনকারীদের উপর শুনানিতে অংশ নেন সাবেক পিপি আবুল হাশেম, অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, অশোক কুমার দাশসহ শীর্ষ আইনজীবীরা।

শুনানি শেষে ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, প্রাণবন্ত একটা শুনানি হয়েছে।   এটাই প্রমাণ হয়েছে আমাদের সমাজের মানুষের মধ্য থেকে এখনও মানবিকতাবোধ হারিয়ে যায়নি।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাত ১২টার দিকে নগরীর কর্ণেলহাট এলাকার লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংলগ্ন ড্রেন থেকে নবজাতকটিক উদ্ধার করে পুলিশ।   শিশুটি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আছে।

একুশের রাতে উদ্ধার হওয়ায় আকবর শাহ থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ এর নাম রাখেন ‘একুশে’।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।