দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
দুদক কমিশনার বলেন, আমি মন্ত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।
‘উপরের নেতৃত্ব ঠিক থাকলে নিচের দিকেও দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধ হতে বাধ্য। ইমাম সাহেব ঠিক থাকলে মুসল্লিরা অবশ্যই ঠিক থাকবে। ’
তিনি বলেন, কোচিং বাণিজ্যের কথা আসে। ভর্তি বাণিজ্যের কথা শুনি। খুব দু:খ হয়। এই পর্যন্ত ৪৫টি গণশুনানিতে আমি অংশ নিয়েছি। মানুষের চোখের পানি দেখেছি। আল্লাহর কাছে কি জবাব দেবেন ?
‘উপরদিক থেকে ধরব যাতে নিচের দিকে একটা ম্যাসেজ যায়। যতবড় অন্যায়কারীই হোক, যে-ই হোন, দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স থাকবে। ’ বলেন দুদক কমিশনার
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার সৈয়দা সরওয়ার জাহান, জেলা প্রশাসক মো.সামশুল আরেফিন এবং দুদকের বিভাগীয় উপ পরিচালক আবু সাঈদ।
এদিকে চট্টগ্রামের একাধিক সরকারি অফিসে ঝটিকা অভিযানের পরিকল্পনাও আছে দুদক কমিশনারের।
এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে তিনি চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে কাস্টমস কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন। রাতে তিনি চট্টগ্রাম অবস্থান করবেন। পরদিন জিমনেশিয়ামে সাব রেজিস্ট্রি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপারে একটি গণশুনানিতে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে দুদক কমিশনারের।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
আরডিজি/টিসি