সেসময় মহিউদ্দিনের সঙ্গে থাকা তার তিন সহযোগী হলেন, তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ (বর্তমানে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি) ও মোহাম্মদ ইউনুছ এবং নায়েক সুবেদার সিদ্দিকুর রহমান।
সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে নগরীর চশমাহিলে মহিউদ্দিনের বাসভবনে মিলিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করেন।
যুদ্ধদিনের কথা স্মরণ করে মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ষোলশহর সিডিএ মার্কেটে অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টর সেন্টারে অস্ত্র ও খাদ্য নিয়ে যাচ্ছিলাম। শহরের জুবিলি রোডের পুরাতন বিমান অফিসের সামনে নেভাল এভিনিউ মোড়ে পাকিস্তানি নৌ-কমান্ডো আমাদের আক্রমণ করে।
‘পুরাতন বিমান অফিসের সামনে থেকে গ্রেফতারের পর আনুমানিক ৫০ গজ দূরে নিয়ে গিয়ে তারা আমাদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয়। এসময় জনতা তাদের পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় তাড়াতাড়ি আমাদের গাড়িতে তুলে টাইগারপাসে নৌবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। ’ বলেন মহিউদ্দিন
সভায় বক্তারা বলেন, নৌবাহিনীর বন্দি শিবিরে প্রতিদিন নির্যাতন চলত। এরপর নিউমুরিং নেভাল বেইজ ক্যাম্পে (বর্তমান ঈসা খাঁ নৌ-ঘাটি) নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের দিয়ে তখন জাহাজ থেকে মালামাল উঠা-নামানোর কাজ করানো হতো। পরে নেভাল বেইজ থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়।
দুইমাস ছয়দিন বন্দি থাকার পর কারাগার থেকে পালাতে তৎকালীন জেলার আব্দুল খালেক সহযোগিতা করেন বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
এরপর মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোসলেম উদ্দিন ও মোহাম্মদ ইউনুছ ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
স্মৃতিচারণে অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, অমল মিত্র, ফিরোজ আহম্মদ, এম এনামুল হক চৌধুরী।
এসময় মহিউদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোর কথা, কিভাবে এই দেশটি স্বাধীন হয়েছে, সেসময়কার রাজনীতি কত গৌরবোজ্জ্বল ছিল সেসব কথা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
আরডিজি/টিসি