ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

একমাস ধরে সচিব নেই বিপিসিতে

মো.মহিউদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
একমাস ধরে সচিব নেই বিপিসিতে

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সচিব নুরুল আমিনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বদলি করা হয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি। একই আদেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোস্তফা কামালকে বিপিসির সচিব পদে বদলি হলেও এখনও কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেনি তিনি। এতে বিপিসির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতাধর কর্মকর্তা পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে সচিব পদে থাকতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তদবির করছেন। তাকে ওই পদে বহাল রাখতে মন্ত্রণালয় ও বিপিসির কয়েকজন কর্মকর্তা কাজ করছেন।

উত্তর বঙ্গের সিন্ডিকেট হিসেবে তাদের পরিচিতি রয়েছে মন্ত্রণালয়ে। ফলে মন্ত্রণালয় থেকে কর্মস্থলে যোগ দিতে ছাড়পত্র দিচ্ছে না।

মন্ত্রণালয় ও বিপিসি থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষণ-১ শাখা থেকে জারি করা বদলি আদেশে মো. নুরুল আমিনকে বদলি করা হয়। ওই আদেশে বিপিসির সচিব মো. নুরুল আমিনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোস্তফা কামালকে বিপিসির সচিব পদে বদলি করা হয়।

তবে ২৬ ফেব্রুয়ারি একই মন্ত্রণালয়ের আরেকটি বদলি আদেশে  নুরুল আমিনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার পদ থেকে মহিলা কারারক্ষীদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পদে বদলি করা হয়।

নুরুল আমিন নতুন কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ায় গত ৯ মার্চ মন্ত্রণালয় এই কর্মকর্তাকে ১২ মার্চের মধ্যে বিপিসি থেকে রিলিজ হওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় ১২ মার্চ বিপিসি থেকে তাৎক্ষনিকভাবে অবমুক্ত হবেন বলে ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয় ও বিপিসির কয়েকজন কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির প্রধান সহযোগী নুরুল আমিন। ফলে তাকে বিপিসি থেকে ছাড়তে চাইছে না। আগের পদে বহাল রাখতে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্র জানায়, বিপিসির প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে হলেও চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে উর্ধ্বতন কমকর্তারা ঢাকায় অফিস করেন। মাসে কয়েকদিন চট্টগ্রাম আসেন। ফলে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটে।

বিপিসির কর্মকর্তাদের প্রধান কার্যালয়ে অবস্থানের নির্দেশনা দিয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয় বিপিসির চেয়ারম্যানের কাছে। ওই চিঠিতে বিপিসির কর্মকর্তারা প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে না থেকে ঢাকায় অবস্থান করার কারণে দাফতরিক কাজকর্ম সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে উল্লেখ রয়েছে।

বিপিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত বা অফিশিয়াল কাজে ঢাকায় আসার প্রয়োজন হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি এবং ঢাকায় বিপিসির কোনো মিটিং করার প্রয়োজন হলে তা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে মিটিংয়ের সময় নির্ধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরও প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত অফিস করছে না বিপিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জানতে বিপিসির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম এর মোবাইলে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।