ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চীনা রসুনের দামে বিক্রি হচ্ছে ভারতেরটি!

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
চীনা রসুনের দামে বিক্রি হচ্ছে ভারতেরটি! দেখতে অবিকল চীনা রসুনের মতো হওয়ায় কমদামি ভারতের রসুনের প্রতি ঝুঁকছেন হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও খুচরা বিক্রেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: ‘চীনা রসুন’ বলে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা রসুন। দুই দেশের রসুনের একই রং ও আকার। তবে ভারতের রসুনের দাম তুলনামূলক কম। তাই বেশি লাভের আশায় বিক্রেতারা এমনটি করছেন।

দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ এবং নগরীর খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

খাতুনগঞ্জের হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, ভারত থেকে বিভিন্ন কোয়ালিটির রসুন আসছে।

সর্বনিম্ন ৭০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকায় এসব রসুন বিক্রি হচ্ছে পাইকারিতে। অন্যদিকে কয়েক মাসের ব্যবধানে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া চীনা রসুনের দর ক্রমে পড়ছে।
১৮০-১৯০ টাকার সেই রসুন এখন ১৬৫ টাকায় ঠেকেছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বছরখানেক আগেও ভারতে রসুনের দাম বেড়ে যাওয়া আমাদের দেশে আমদানি করা চীনা রসুন চোরাইপথে পাচার হতো। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। ভারত থেকে আসা রসুনে দেশে চীনা রসুনের যে একচেটিয়া বাজার ছিল সেটির লাগাম টেনে ধরেছে। চীনা রসুনের দাম কমে যাওয়ার পেছনে দেশি রসুনের প্রভাবের চেয়ে ভারতের রসুনের আধিপত্যই বেশি।

একজন আড়তদার বাংলানিউজকে জানান, ‘বুম’, ‘এএএ’ ইত্যাদি ব্রান্ডের ভারতীয় রসুন খাতুনগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে অবিকল চীনা রসুনের প্লাস্টিক বস্তার মতো বস্তায় ভরে। প্রতি বস্তায় ২১-২২ কেজি রসুন থাকছে। সহজে বহনযোগ্য। স্বাভাবিকভাবে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্ট আর খুচরা বিক্রেতারা ভালোমানের ভারতের রসুনের দিকে ঝুঁকছে। এতে তাদের লাভটা বেশি হচ্ছে।

কদম মোবারক মার্কেটের একটি মুদির দোকানে বাজার করতে এসেছিলেন গৃহিণী রেহানা আকতার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ঠেলাগাড়িতে দেখলাম বড় দানার চীনা রসুনের দাম কমে যাচ্ছে। কিনে দেখলাম ঝাঁজটাও কম। পরিচিত এক দোকানিকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম এগুলোর কোয়া বড় হলেও ভারতীয় রসুন। শুনে অবাক হলাম। এতদিন জানতাম ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে, এবার দেখছি রসুনও আসছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) খাতুনগঞ্জে প্রতিকেজি বাংলাদেশের মেহেরপুরি পেঁয়াজ ৯ টাকা, ভারতের খাশখালী ১২ টাকা এবং নাসিক ১৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে এসব পেঁয়াজ ১৬-২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া পাইকারিতে প্রতিকেজি চীনা আদা ৫৫-৬০ টাকা, দেশি আদা ৩৫ টাকা, থাইল্যান্ডের আদা ৪০ টাকা বিক্রি হয়েছে।  

** ১০ টাকায় পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জে

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।