রোববার (২৬ মার্চ) চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত ১৭তম স্বাধীনতার বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এমএ মালেক বলেন, ‘‘বরেণ্য সাহিত্যিক আবুল ফজল বলেছেন, ‘সাহিত্যের বাণী মানে স্বাধীনতার বাণী।
বইয়ের দাম অনেক বেশি বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে ১০০ পৃষ্ঠার বই তিন আনা, চার আনা দিয়ে পাওয়া যেত। এখন দেড়শ-দুশ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। কারণ ১৯৭০ সালের আগে বা ষাটের দশকে এক রিম কাগজের দাম ছিল ৭ টাকা। যেহেতু আমি প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে জড়িত সেহেতু আমি জানি। এক কেজি কালির দাম ছিল ১২ আনা। মুদ্রণশিল্পে যে সমস্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হতো সেগুলো ১০-১৫ হাজার টাকায় পাওয়া যেত। এখন মুদ্রণশিল্পে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। ভালো কাগজ এখন দু-আড়াই হাজার টাকা রিম। এক পাউন্ড কালির দাম ২০০-২৫০ টাকা। সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে।
অন্ধকার দূর করতে আলোর প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মনের অন্ধকার দূর করতে বইয়ের প্রয়োজন। বই আমাদের পড়তে হবে। বই না পড়লে কিন্তু আমরা ভবিষ্যতের দিকে এগোতে পারব না। তাই সরকার যদি প্রকাশনা শিল্পে কিছুটা ডিউটি রেয়াত দেন তবে জনসাধারণ কম দামে বই পেতে পারে।
সুকান্ত-নজরুল আর একাত্তর চেতনায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম কাগজ দৈনিক আজাদীর সম্পাদক হওয়ায় এখানে সভাপতিত্ব করার সুযোগ দিয়েছেন, সেজন্য আমি ধন্য মনে করছি। দেশের তিনজন কৃতী মুক্তিযোদ্ধার হাতে ক্রেস্ট তুলে দিতে পেরে নিজেকে গৌরববোধ করছি। আমরা যে বাংলাভাষায় কথা বলতে পারছি সেটি তাদের অবদান। তারা জীবনবাজি রেখে যদি স্বাধীনতা এনে না দিত তবে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারতাম না।
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি যখন ঢাকা রক্তাক্ত হয়েছিল সেদিন চট্টগ্রামের কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী কবিতা লিখেছিলেন ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’। সেই কবিতাটি আমার বাবা কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেস থেকে ছেপে দিয়েছিলেন এবং পরদিন সেটি লালদীঘির মাঠে পঠিত হয়েছিল। সেই কবিতাটির জন্য ৩৯ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল একুশে পদক পাওয়ার জন্য। এটাই হলো চট্টগ্রামের দুঃখ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক মনোজ সেনগুপ্ত ও ইকুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা. মইনুল ইসলাম মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল আহাদ চৌধুরী, জসীম উদ্দিন আহমেদ ও শফিক আহমদ মুন্সীকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধান অতিথি।
সূচনা বক্তব্য দেন প্রাবন্ধিক সাখাওয়াত হোসেন মজনু। আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমু ও কবি মর্জিনা আখতারের সঞ্চালনায় এ পর্বে বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক জিন্নাহ চৌধুরী ও স্বাধীনতার বইমেলা উদযাপন পরিষদের মহাসচিব অরুণ শীল।
‘জঙ্গিবাদ নির্মূলে একাত্তরের মতো ঐক্য প্রয়োজন’
খালেদা এখনো মনেপ্রাণে পাকিস্তানি রয়ে গেছেন: মইনুল
পাঠ্যবই নিয়ে বিরক্তি ও অশ্রদ্ধা তৈরি হয়ে যায়: পবিত্র
চট্টলার ২৩ মনীষীর নামে কর্নার ডিসি হিলে
স্বাধীনতার বইমেলায় আসছেন পবিত্র সরকার
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৭
এআর/টিসি