ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘জঙ্গিবাদ নির্মূলে একাত্তরের মতো ঐক্য প্রয়োজন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৭
‘জঙ্গিবাদ নির্মূলে একাত্তরের মতো ঐক্য প্রয়োজন’ বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক মনোজ সেনগুপ্ত। ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ আমাদের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক মনোজ সেনগুপ্ত বলেছেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করবার জন্য সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ সমস্ত কুচক্রীদের, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে হবে। ধ্বংস করতে হবে। তার জন্য একাত্তরের মতো ঐক্যের প্রয়োজন। সবাই যদি একসাথে কাঁধে কাঁধ মেলাতে পারি তবে অবশ্যই এদেশ থেকে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ নির্মূল হবে।

রোববার (২৬ মার্চ) চট্টগ্রাম একাডেমি আয়োজিত ১৭তম স্বাধীনতার বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অভিভাবকদের উদ্দেশে মনোজ সেনগুপ্ত বলেন, সন্তানকে ভালো স্কুল-কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়ে চুপচাপ বসে থাকবেন না।

আজকে স্কুল-কলেজে তারা শুধু পুঁথিগত শিক্ষালাভ করছে। এর বাইরে কোনো শিক্ষালাভ করতে পারছে না।
যে কারণে তারা মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারছে না। শিক্ষকদের বলবো, পুস্তকের বাইরেও জ্ঞানদান করতে হবে।  

আপনার সন্তান যদি পড়াশোনার বাইরে ক্রিকেট খেলতে চায়, ফুটবল খেলতে চায়, সাঁতার কাটতে চায়, দৌড়াতে চায় সে উৎসাহ দিতে হবে। বাধা দিলে চলবে না। আপনারা জানেন, বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে প্রথম পরিচিত করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারপরে বাঙালি জাতিকে এবং বাংলাদেশকে যদি বিশ্বের দরবারে পরিচিত করে সে হলো ক্রিকেট। বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলংকাকে পরাজিত করেছে চট্টগ্রামের ছেলে তামিম। তার জন্য হাততালি দেন। সে যেন এ হাততালি শুনতে পায়। আজ আমাদের তামিমের মতো ক্রিকেটার, মুস্তাফিজের মতো ক্রিকেটারের প্রয়োজন আছে। সালাউদ্দিনের মতো ফুটবলার প্রয়োজন আছে। যোগ করেন তিনি।    

তিনি বলেন, তিনজন স্বাধীনতার সূর্যসৈনিক আবদুল আহাদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা জসীম উদ্দিন আহমেদ ও শফিক আহমদ মুন্সীকে সম্মান দেওয়া হলো। এ সম্মান শুধু তাদের নয়, এ সম্মান সমস্ত মুক্তিকামী মানুষের জন্য, এ সম্মান সমস্ত চট্টগ্রামবাসীর জন্য। এ জন্য চট্টগ্রাম একাডেমিকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হয়।  

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই চট্টগ্রাম সব দিক থেকে এগিয়ে। সংগ্রামের দিক থেকে বললে, সংগ্রাম শুরু হয়েছিল মাস্টারদা সূর্য সেনের হাত ধরে। প্রীতিলতার হাত ধরে। সাহিত্যে নবীন সেন, শশাঙ্ক মোহন সেন, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, আবুল ফজল, একুশে পদক পাওয়া সুকুমার বড়ুয়া, আবুল মোমেন অন্যতম। এ বছর শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন রাশেদ রউফ, তাকে অভিনন্দন জানাই। বাংলা একাডেমি যারা ভালো ছড়া লেখেন, সাহিত্যিক আছেন গবেষণামূলক লেখেন তাদের বই বেশি করে ছাপায়। চট্টগ্রামে আরও অনেক প্রতিভাবান সাহিত্যিক আছেন, তারা যেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।

তিনি আগামী দিনে স্বাধীনতার বইমেলা আরও বড় পরিসরে আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইকুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা. মইনুল ইসলাম মাহমুদ। সূচনা বক্তব্য দেন প্রাবন্ধিক সাখাওয়াত হোসেন মজনু। আবৃত্তিশিল্পী আয়েশা হক শিমু ও কবি মর্জিনা আখতারের সঞ্চালনায় এ পর্বে বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক জিন্নাহ চৌধুরী ও স্বাধীনতার বইমেলা উদযাপন পরিষদের মহাসচিব অরুণ শীল।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।