তিনি বলেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার অপ তৎপরতায় লিপ্ত দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সু-রক্ষা এবং গণতন্ত্রের পতাকাকে সমুন্নত রাখতে হবে।
রোববার দুপুরে কাজির দেউড়ি চত্ত্বরে নগর বিএনপি উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত র্যালি পূর্ব সামাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নোমান বলেন, আদর্শের বন্ধনে, রাজনীতির বন্ধনে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে আমার ৭ বৎসরের জেল হয়েছিল এবং আমার সম্পত্তি বাজোয়াপ্ত করা হয়েছিল।
সভাপতির বক্তব্যে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের অনন্য নক্ষত্র। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান ছিল অপরিসীম। স্বাধীনতার ঘোষণা ছাড়াও যুদ্ধ পরিচালনা ও যুদ্ধ প্রশাসনের নীতি নির্ধারণে মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধের মহানায়ক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ছিল সর্বোপরি একটি জনযুদ্ধ। বহু সাধারণ মানুষের অসাধারণ আত্মত্যাগ আর সৌর্য বীর্যের এক অনুপম গৌরভ গাঁথা।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, দেশি বিদেশি চক্রান্তের ফলে গণতন্ত্রের পথ চলা বার বার হোচট খেয়েছে। এই সরকার স্বৈরাচারীর কায়দায় দেশ শাসন করছে।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ট অর্জন স্বাধীনতা। শোষণ, বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এদেশের মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। বারবার স্বৈরাচারী শক্তি আমাদের সে লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়নি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, মোহাম্মদ আলী, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল, মো. আলী, হারুন জামান, ইসকান্দর মির্জা, মোশারফ হোসেন দিপ্তি, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ঘণ্টা, মার্চ ২০১৭
এমইউ/টিসি