শনিবার (২৫ মার্চ) বাংলানিউজ চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসে আলাপচারিতায় তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম আমার জন্মভূমি।
অথচ আমরা বারাসাত স্টেডিয়ামের সামনে মাস্টারদার মূর্তি বসিয়েছি। প্রীতিলতারও আছে। বিনোদ বিহারী চৌধুরী মারা যাওয়ার পর বিমানে পাঠানোর দায়িত্ব আমিই নিয়েছিলাম। চট্টগ্রামে মাস্টারদার নামে অনেক কিছু হওয়া উচিত ছিল, দুর্ভাগ্যের বিষয় হয়নি। যোগ করলেন তিনি।
পশ্চিম বাংলায় ‘চট্টলবন্ধু’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার পুকুরিয়ার তুলাতলীর সন্তান রতন ধর বললেন, ভারত সরকার আমাকে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। আমার পাসপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ আছে সাতকানিয়ার ঠিকানা।
আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ বাবা লোকনাথের জন্মস্থান কচুয়ায় শ্রাবণে জন্মাষ্টমীর সময় ১৫-১৬ লাখ ভক্তের সমাগম হয়। এত বড় আয়োজনের সেক্রেটারির গুরু দায়িত্ব পালন করেন রতন ধর।
তিনি বলেন, ২৫ বিঘার একটি বাগানবাড়ি আছে। সেখানে বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য গেলে থাকেন, বেড়াতে গেলে থাকেন। এদেশের অনেক বিশিষ্ট লোকজন আসেন। চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীও ভারতে গেলে আমার বাসায় যান।
বললেন, ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে যখন আমি বাংলাদেশ ছেড়ে যাই তখন আমার পকেটে মাত্র ৫০০ টাকা ছিল। এখানকার ১০০ টাকায় ভারতের ৪৫ রুপি পাওয়া যেত তখন। আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি একটা জিনিস জানি সততা, নিষ্টা এবং পরিশ্রমের বিকল্প নেই। এ তিনটি জিনিস থাকলে যে কোনো মানুষ সফল হবেই। হয়তো আমার চেয়ে কম হবে, নয়তো বেশি হবে। দাঁড়াতে পারবে মানুষ। নিজের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি।
আমি নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি তা নয়, পাঁচ ভাইকে নিয়ে গেছি। মা-বাবাকে নিয়ে গেছি। এখন মা-বাবা গত হয়েছেন। ভাইয়েরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমার দুই মেয়ে। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আরেক মেয়ে পড়াশোনা শেষ করছে। সাংবাদিক নিরুপম দাশগুপ্ত আমার ছেলে সমতুল্য। তাকে আমি খুব স্নেহ করি। যোগ করলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
এআর/টিসি