ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ঐক্যবদ্ধ হোন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ঐক্যবদ্ধ হোন ‘গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’

চট্টগ্রাম: গণহত্যা দিবস স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

উপাচার্য তার বক্তব্যে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ ভয়াল রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হওয়াদের বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।

উপাচার্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘৭ মার্চ উত্তাল জনতার মাঝে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালিকে করেছিল সাহসী, জুগিয়েছিল অদম্য প্রেরণা। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে স্বাধীনতা পিয়াসী অপামর বাঙালি যখন ঐক্যবদ্ধ তখনি বর্বর হানাদার বাহিনীর নিষ্ঠুরতার ভয়াবহতা বিশ্ব মানবতার উপর যে আঘাত হেনেছিল তা আদিম অন্ধকার যুগের অসভ্যতাকে হার মানিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের নামে হায়েনার দল বাংলাদেশকে পরিণত করেছিল মৃত্যুপুরীতে। রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র, নিরীহ হাজার হাজার বাঙালিকে নির্বিচারে হত্যা, তাঁদের ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মা-বোনদের সম্ভ্রমহানিসহ নজিরবিহীন পৈশাচিক মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের ভয়াবহতা ভুলে যাবার নয়। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এ সত্য সঠিকভাবে ধারণ করতে হবে এবং ইতিহাসের এ নির্মম সত্যটি বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে।

উপাচার্য বলেন, অত্যন্ত বিস্ময়ের ব্যাপার যে দীর্ঘ এতবছর পরেও পাকিস্তানিরা ইতিহাসের মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ইতিহাসের ধ্রুব সত্য প্রতিষ্ঠায় ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবিতে দেশবাসীকে সোচ্চার হতে হবে।

বক্তব্য শেষে উপাচার্য ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সবাইকে নিয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু চত্বর মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় অন্যাদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ও অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী।

ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) মো. ফরহাদ হোসেন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রক্টাররা, বিভাগীয় সভাপতি ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক, অফিসার সমিতি, কর্মচারি সমিতি, কর্মচারি ইউনিয়নের নেতবৃন্দ ও অফিস প্রধানরা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ২৫, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।