ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘মুক্তিযোদ্ধার খেতাব সবার ভাগ্যে জোটে না’

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
‘মুক্তিযোদ্ধার খেতাব সবার ভাগ্যে জোটে না’ ‘মুক্তিযোদ্ধার খেতাব সবার ভাগ্যে জোটে না’

চট্টগ্রাম: গণহত্যা দিবস ও মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘চাইলে যে কেউ রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। হতে পারেন কোটিপতি বা ধনী ব্যক্তি। কিন্তু দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সম্মান সবার ভাগ্যে জোটে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো যদি নিশ্চিত হয়, তবে-ই কেবল বলা যাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়েছে। অস্ত্র কাঁধে নিয়ে ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ আমরা করেছি, সে যুদ্ধের পর এখন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নতুন সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

আমি আশা করবো তরুণ প্রজন্ম সে যুদ্ধে দারুণ লড়াকু সৈনিক হয়ে সুনাম কুড়াবে। ’

শনিবার সকালে নগরীর প্রবর্তক মোড়ের ইডিইউর বর্ধিত একাডেমিক ভবনে এসব কথা বলেন আবদুল্লাহ আল নোমান।

এই সময় তিনি অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মানসূচক ক্রেস্ট তুলে দেন। এতে ইডিইউর উপাচার্য ছাড়াও শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

ইডিইউর শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অন্তরে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘এদেশের বুকে যতই ঝড়-ঝাপটা কিংবা প্রতিবন্ধকতা আসুক, নিজেকে ঠিক সামলে নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে কখনও পিছপা হয় না বাংলাদেশ। আমি চাই আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা এই শিক্ষা নিয়ে লাল সবুজের দেশটির জন্য আরও বেশি কাজ করবে। ’

তিনি আরো বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ হিশেবে দেশের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। সকল স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে একটি পরিপূর্ণ সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে সমাজের ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় আলোকিত করার চেষ্টা আমি করে যাচ্ছি। আশা করছি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবার সহযোগিতা পাবো। ’

সভাপতির বক্তব্যে ইডিইউর উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভেদাভেদ কখনও কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, আমি চাই এই যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও ভূমিকা আগামী প্রজন্ম নিজের মত করে জানার সুযোগ পাক। তবেই তাদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর সামস-উদ-দোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সজল বড়ুয়া, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান শাহ আহমেদ রিপন, মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে সাঈদ মুহিবুদ্দিন মুহাম্মদ তৌফিক প্রমুখ।

পরে ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ, দেশাত্মবোধক গান ও নাটিকা সবার নজর কাড়ে। পুরো অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন ইউনিভার্সিটির দুই শিক্ষার্থী মোজাম্মেল ও মেহনাজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।