শুক্রবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রামে ‘সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদবিরোধী কনভেনশনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন ইউজিসির এই অধ্যাপক।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে যুব ইউনিয়ন আয়োজিত এই কনভেনশনে মঈনুল ইসলাম বলেন, আমি এখন এনএসএফ ও ছাত্রলীগের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখি না।
‘আমি এখন ছাত্রলীগের মধ্যে এনএসএফকে দেখতে পাচ্ছি। এবং ছাত্রলীগের একজন সাবেক কর্মী হিসেবে কষ্ট পাচ্ছি। ’ বলেন মঈনুল ইসলাম
তিনি বলেন, আমি নিজেও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম। ১৯৭২ সালে মুজিববাদী ছাত্রলীগের মধ্যে যেটা দেখেছিলাম, সেটা এখন আবারও দেখছি। ওবায়দুল কাদের সাহেবও বলছেন, ছাত্রলীগের নেতারা এখন হেলিকপ্টারে করে ঘুরে বেড়ায়। এই যে কোটিপতি ছাত্রনেতা বানানোর প্রজেক্ট, সেটা এখন ছাত্রলীগেও ঢুকে গেছে।
‘আমি নিজে ছাত্রলীগ করেছি। স্বাধীনতার জন্য ছাত্রলীগের গঠিত গোপন নিউক্লিয়াসের সদস্য ছিলাম। কিন্তু আমি একদিনের জন্যও জাসদ করিনি। কারণ জাসদের জন্মপরিচয় নিয়ে আমার কাছে প্রশ্ন ছিল। শিক্ষকতায় যখন যোগ দিয়েছি, তারপর থেকে আমি কখনও রাজনীতি করিনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ কি কখনও ভেবে দেখেছে, জাসদের জন্ম কেন হয়েছিল ?’
মঈনুল ইসলাম বলেন, কয়েক হাজার কর্মীকে ছাত্রলীগ অপচয় করেছে। অপচয়কৃত কর্মীদের মধ্যে ড.মঈনুল ইসলাম একজন। অপচয় তো হয়েছি, কিন্তু আমি অবস্থান থেকে নড়িনি।
‘সরকার আমাকে অনেক পদ দিতে চেয়েছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য করতে চেয়েছে। আমি নিইনি। আমি বলেছি, আপানারা তো এখন সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আপনাদের ম্যানিফেস্টোতে তো মুক্তবাজার অর্থনীতি। আমাকে নিয়ে কেন টানাটানি করছেন। ’
‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। সর্বোচ্চ পদে গেছি। কিন্তু ওই ভাইস চ্যান্সেলর পদে বসার জন্য তদবির আমি কখনো আমি করিনি, ভবিষ্যতেও করবে না। তারা দিলে আমি নেব, তবে যদি নেয়ার মতো হয়। ’ বলেন মঈনুল ইসলাম
কনভেনশনের আলোচনায় আরও অংশ নেন কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি মো.শাহ আলম, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাকবিশিস) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর, নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, অধ্যাপক কানাই দাশ, যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল।
যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আমির হোসেনের সভাপতিত্বে কনভেনশন সঞ্চলনা করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি রিপায়ন বড়ুয়া। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুব ইউনিয়নের রাঙামাটির সভাপতি এম জিসান বখতিয়ার, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শিকদার, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক সনৎ বড়ুয়া এবং কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার মার্টিন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭
আরডিজি/টিসি