শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলে নগরীর মুসলিম হলে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা শাখার দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে বৈষম্য, বঞ্চনা ও অবহেলা সংখ্যালঘুদের উপর বয়ে যাচ্ছে।
সংবিধানের চরিত্র বদলে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা চলে গেল, ইসলাম রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল। তাহলে কি দাঁড়াল? বাংলাদেশে এখন যে কাজগুলো হচ্ছে তা সবই মুক্তিযুদ্ধের বিরাধেী শক্তির মত অনুযায়ী। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এদেশের মালিক কিন্তু আমরা সবাই। আমরা কোনো রাজনৈতিক শক্তির কাছে ইজারা দিইনি। সুতরাং কোনো রাজনৈতিক দল আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। আমাদের অধিকার আমরা নিজেরাই ছিনিয়ে নেব। ’
‘মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের প্রত্যেকের মনে যে পরিষ্কার ধারণা এনে দিয়েছিল, সেটি হলো বাংলাদেশ হবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, যে দেশে প্রতিটি মানুষ তার নিজ নিজ পরিচয়ে সমান অধিকারে বসবাস করবে। কিন্তু বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে সেটি সম্পূর্ণ এর বিপরীত। ’ বলেন- সুলতানা কামাল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও আর্ন্তজাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, কেন্দ্রীয় নেতা ইন্দুনন্দন দত্ত, হিন্দু ফাউণ্ডেশনের মহাসচিব শ্যামল কুমার পালিত, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মহানগর শাখার সভাপতি প্রকৌশলী পরিমল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭
জেইউ/টিসি