ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফাস্টট্র্যাক প্রকল্পে তালিকাভূক্ত হবে বে-টার্মিনাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭
ফাস্টট্র্যাক প্রকল্পে তালিকাভূক্ত হবে বে-টার্মিনাল

চট্টগ্রাম: বন্দরে ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি মোকাবেলায় বে-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পেকে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভুক্ত প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির ১১তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। সভায় উপস্থিত ব্যবসায়ী এবং উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

সভায় আইনি জটিলতার কারণে কর্ণফুলী ড্রেজিংয়ের কাজ নতুন প্রকল্পের নাম দিয়ে করা, বে-টার্মিনালের ভূমি অধিগ্রহণ, নগরীর যানজট নিরসনে ট্রেইলর চলাচল সীমিতকরণ, মহেলখালে স্লুইচ গেইট নির্মাণ, এনসিটি পুরোদমে চালু করতে যন্ত্রপাতি ক্রয়, কারশেড, অকশান শেড চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া বেসরকারি ডিপোর ট্যারিফ নির্ধারণে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

বে-টার্মিনালকে সরকারের ফাস্টট্র্যাক প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব দিয়ে সংসদ সদস্য ড.হাসান মাহমুদ বলেন, রফতানি বাড়াতে হলে বন্দরের টাইমিং কমানো দরকার সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। কিন্তু এটি করতে যে সমন্বয় দরকার ছিল তা হয়নি। আমি কাউকে ছোট করছি না। মন্ত্রণালয় মন্ত্রী চালায় না, মন্ত্রী কেবল সিদ্ধান্ত দেয়। এই সিদ্ধান্ত ফাইল হয়ে আসতে কি হয় তা অন্তত আমার জানা আছে। এই যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং সেটা হয়নি।

তিনি বলেন, গত ৮ বছরে রফতানি আড়াইগুণ বেড়েছে অথচ বন্দরে কোন জেটি হয়নি। এনসিটি তৈরি করেছি চালু করতে পারিনি। পুরোপুরি চালু করতে যেসব যন্ত্রপাতি দরকার তা কিনতে পারিনি, কেন? যেখানে দেশের এডিপি প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা সেখানে ১৪০০ কোটি টাকার যন্ত্র কিনতে পারলাম না কেন।  সে কারণে একটি বানানো স্থাপনা চালু করতে পারিনি। যেটা দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘যেখানে সেখানে হাত দেওয়ার তো দরকার নেই। আমার দেখতে হবে কোনটা আগে প্রয়োজন। দেশে আরও বন্দর হোক সেটার জন্য কোন আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কিন্তু আমাকে দেখতে হবে আগামী ৫ বছরে রফতানি দ্বিগুণ হবে। সেই বন্দর কি আগামী ৫ বছরে তৈরি হবে। হবে না। কোন স্টাডি বলে না এটা হবে। তাহলে আমার সামনে কোন পথ খোলা সেটা দেখতে হবে। সেটা হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া বে-টার্মিনাল। আগামী ২ বছরে এই টার্মিনাল চালু করা সম্ভব। অথচ গত দুই বছর ধরে জায়গাও আমি খুঁজে পাইনি। ’

ড.হাসান মাহমুদ বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে যে ধরনের কমিটম্যান্ট দরকার, যে ধরনের ক্ষিপ্রতা দরকার তা নেই। মনে রাখতে হবে এটা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। এখন দিনে দিনে জাহাজের সাইজ বড় হচ্ছে। ফলে ডিপ সি-পোর্টের কথা আসছে। যেহেতু আমার পক্ষে এখন ডিপ সি-পোর্ট করা সম্ভব নয় তাই বিকল্প হচ্ছে বে-টার্মিনাল।

প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের ফাস্টট্রাক প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাবনা দিয়ে তিনি বলেন, অনেক কাজ একসঙ্গে হাতে নিলে কোনটিই ভালোভাবে হয় না। ফ্লোটিং টার্মিনাল ভাল। পাশাপাশি বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। তারপর আমি নতুন জেটি করবো না টার্মিনাল করবো সেটা দেখবো।  

সভায় ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খলিলুর রহমান, চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বিজিএমইএ পরিচালক মাহবুব চৌধুরী, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।