বাজারে সবুজ সবজি সাজানো থাকলেও দাম শুনে আঁতকে উঠতে পারেন। কারণ প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে।
মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়া আর বৃষ্টির অযুহাত দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারাদের অভিযোগ, সবজির ভরা মৌসুমেও এবার দাম কমেনি। এখন আবার বৃষ্টির অযুহাত দেখানো হচ্ছে। মূলত ক্রেতাদের পকেট কাটার ফন্দি।
শুক্রবার নগরীর কাজির দেউড়ি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে সবজির দাম শুনে অনেক ক্রেতারাই সবজি না কিনে চলে যাচ্ছেন। বাধ্য হয়ে যাদের কিনতে হচ্ছে তারা পরিমাণে কম নিচ্ছেন।
বাজারে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে আগামীতে মনে হয় সাধারণ মানুষ সজবিও খেতে পারবে না। তিনি বলেন, বাসা থেকে কয়েক প্রকাশ সবজি নিতে বলেছিল কিন্তু দামের কারণে সব ধরনের সবজি নিতে পারলাম না।
সবজির দাম ক্রমশ সাধারণ মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেলেও বিক্রেতারা জানিয়েছেন আগামীতে সবজির দাম করতে পারে। তারা বলছেন, চলতি মাসের প্রথম দিকে বৃষ্টির কারণে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার নগরীর কাজির দেউড়ি বাজারে করলা বিক্রি হচ্ছিল ১৬০ টাকা দরে। জানতে চাইলে সবজি বিতানের স্বত্ত্বাধিকারী মো.শওকত আলী বাংলানিউজকে জানান, প্রায় একমাস আগে বাজারে এসেছে করলা। শুরুর দিকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
তিনি বলেন,মৌসুম শেষ হওয়ার কারণে ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ কয়েকটি সবজির দাম বেশি। অন্যদিকে কিছুদিন আগে হওয়া বৃষ্টির কারণে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে সংকট তৈরি হয়েছে। তাই এখনো সবজির দাম কমছে না।
আগামী সপ্তাহ থেকে সবজির দাম কমতে শুরু করবে বলে আশা করছেন তিনি।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। ঢেঁড়শ ৭০, ফুলকপি ৬০, বরবটি ৭০, ঝিঙে ৭০, শসা ৫০, বেগুন ৬০, চিচিংগা ৬০, সিম ৬০, পেপে ৪০, টমেটো ৪০, বাঁধাকপি ৩০, দেশি আলু ৩৫, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, গাজরের দামও বাড়তে শুরু করেছে। এতদিন স্থিতিশীল থাকলেও বর্ষা মৌসুম আসার কারণে দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার নগরীর কাজির দেউড়ি বাজারে প্রতি কেজি ধনে পাতা ১৬০, কাঁচা মরিচ ৪০, গাজর ২৫, খিরা ৩০ ও ক্যাপসিক্যাম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। গত এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭
এমইউ/টিসি