ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করতে হবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সচিব শাব্বির ইকবাল

চট্টগ্রাম: ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীসহ দেশের সব নাগরিককে একযোগে কাজ করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের উন্নয়নে কাজ করবে, তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক।’ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) লিয়াকত আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত গুণীজন সম্মাননা ও শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সচিব শাব্বির ইকবাল এসব কথা বলেন।

রাউজানের গশ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রচনায় মুক্তিযোদ্ধারা যে দুঃসাহসিক কাজ করেছেন, এ ঋণ শোধ হবার নয়। শিক্ষার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সব তথ্য সঠিকভাবে জানতে হবে এবং সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্মৃতিকে ধরে রাখতে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে অসংখ্য স্মৃতিসৌধ ও স্মৃতিস্তম্ভ।
 
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে প্রজন্মান্তরে জানান দিতেই এ কাজ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে দেশের সব নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে তা পৌঁছে দিতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশের উন্নয়নে কাজ করবে, তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক।
 
লিয়াকত আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি ও গুণীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের তিনি সফলতা কামনা করেন।     
 
সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার পাশা, লিয়াকত আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের কো-চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার। সভায় প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক রমজান আলী, আনোয়ার পাশা, ডা. একেএম নজরুল ইসলামকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
 
গশ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বৃত্তি পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন বৃত্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন চৌধুরী।
 
সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল বশর, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেলা পরিষদের প্রকৌশলী রথীন্দ্রনাথ সেন, মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম, আলমগীর হায়দার, সন্তোষ কুমার চৌধুরী, বদিউল আলম, অদিতি চৌধুরী, অজিত কুমার দে, দিলীপ কুমার দাশ, শিক্ষক আশুতোষ শর্মা, শাহাদাত ইসলাম, মাওলানা মিজানুর রহমান হোসাইনি, ট্রাস্টের সদস্য স্বপন কান্তি দে, প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক, আব্দুর রহিম, আব্দুল গফুর মাস্টার, ইউপি সদস্য উদয় দত্ত অর্ক, মাহমুদুর রহমান তালুকদার, ফখরুল সাহেব, আলমগীর হায়দার, আলমগীর প্রমুখ।
 
দক্ষিণ রাউজানের ১৮টি প্রতিষ্ঠানের অধ্যয়নরত ৬০জন মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়। লিয়াকত আলী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কয়েকবছর থেকে আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।