চারতলা এই ভবনের পুরো অংশ জুড়েই জীর্ণদশা। অনেক কক্ষ তালাবদ্ধ, আবার অনেক কক্ষ ভাঙা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে ডান দিক দিয়ে হেঁটে গেলে বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট যাওয়ার সড়ক। তার ঠিক পাশ ঘেঁষে রয়েছে শিশু পার্ক। সেখান থেকে আর একটু হাঁটলেই স্যাঁতসেঁতে শ্যাওলা পড়া চারতলা ভবনটিই ব্যাচেলর শিক্ষকদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, চারতলা এই ভবনটিতে আসন আছে ৩২টি। নিচতলায় বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় থাকেন না কেউ। সেখানে আটটি কক্ষের কোনোটা রয়েছে তালাবদ্ধ, আর কোনোটা দরজা ভাঙা। দ্বিতীয় তলায় আটটি কক্ষে শেষের তিনটিতেও থাকেন না কেউ। বাকিগুলোতে থাকলেও সেখানে কক্ষের ভেতরে ছাদ চুঁইয়ে পড়ে পানি। বাথরুমে জমেছে শ্যাওলা। তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়ও অবস্থা একই।
সংকট রয়েছে কর্মীরও। তাই শিক্ষকরা নিজেদের কক্ষ নিজেরাই ঝাড়ু দেন, নিজেরাই রান্না করেন। বলতে গেলে সমস্ত কিছু দেখভাল শিক্ষকরা নিজেদেরই।
কয়েকজন শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে নাম প্রকাশ করতে কেউ রাজি হননি। তবে তৃতীয় তলায় বসবাস করা দুইজন শিক্ষক বাংলানিউজকে বলেন, একবছর আগেও ২৫ জনেরও বেশি শিক্ষক অবস্থান করতেন। বসবাসের একেবারে অযোগ্য হওয়ায় ধীরে ধীরে তারাও চলে গেছেন। তারপরও যারা থাকেন তারা প্রয়োজনের তাগিদে থাকেন।
দ্বিতীয় তলায় বসবাস করা একজন শিক্ষক বলেন, ভবনের বাথরুমের সংযোগ পাইপ ফেটে গিয়ে দুর্গন্ধ বের হয়। এরকম গন্ধ ছড়ায় যে রুমের ভেতরেও থাকা যায় না। এছাড়া নেই কর্মচারীও। নিজেদের কক্ষসহ আশ-পাশ পরিষ্কার নিজেদেরই করতে হয়। যত শিগগিরই সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে দেখা উচিত।
সমস্যার কথা মানছে স্বয়ং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, ভনটি অনেক পুরানো তাই এমন দশা। নিচের কক্ষগুলোতে থাকা যায়না। কিছুদিন আগে আমরা কিছু মেরামতও করেছি। তবে আমরা ইতোমধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। সামনে দরপত্র আহ্বান করা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৭
জেইউ/টিসি