ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মহেশখালে শিগগির স্লুইচ গেইট নির্মাণের আশ্বাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
মহেশখালে শিগগির স্লুইচ গেইট নির্মাণের আশ্বাস মহেশখালে স্লুইচ গেইট নির্মাণের আশ্বাস নৌমন্ত্রীর, ছবি:বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: মহেশখালের মুখে নির্মিত অস্থায়ী বাঁধ ভেঙে স্লুইচ গেইট নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। বাঁধ নির্মাণের পর দুর্ভোগে অতিষ্ঠ জনগণের আন্দোলনের মুখে এ আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি)’র বার্ষিক সাধারণ সভায় একজন শেয়ারহোল্ডার এলাকাবাসীর দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, মহেশখালের আশপাশের মানুষ আগে প্রতিদিন ৮ ঘন্টা পানির নিচে বন্দি থাকতে হতো। তাদের সুবিধার জন্য ড্যাম বসানো হয়েছে।

আপনারা চাইলে বাঁধ ভেঙে দিতে পারি। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হবে না।

আমরা শিগগির স্লুইচ গেইট নির্মাণের কাজ শুরু করবো।

জোয়ারের পানি থেকে এলাকার মানুষকে মুক্তি দিতে নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মহেশখালের মুখে বাঁধ নির্মাণ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাঁধ দেওয়ার পর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর এলাকার বাসিন্দারা জলাবদ্ধতায় পড়েন। বাঁধের কারণে বৃষ্টির পানি নদী পড়ে না। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন প্রায় ১০ লাখ মানুস।

বাঁধের কারণে দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার আন্দোলনে নামে এলাকার বাসিন্দারা। বিভিন্ন সময়ে সভা-সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঁধটি অপসারণের দাবিতে এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছিল।

মহেশখালের উপর নির্মিত বাঁধ অপসারণ এবং নতুন স্লুইচ গেইট নির্মাণের আশ্বাসে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মহেশখালের বাঁধের কারণে এলাকার মানুষ অনেক কষ্ট ভোগ করেছে। এলাকার মানুষ ঈদের নামায পড়তে পারেনি। এ বাঁধের কারণে মানুষের রক্ত ঝরেছে। তিনি দ্রুত স্লুইচ গেইট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানান।

চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মোহাম্মদ ফজলুর রহমান মুনসী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিএসসি’র বার্ষিক সাধারণ সভায় নৌ মন্ত্রী জানান, চীন থেকে ৩টি বাল্ক ক্যারিয়র ও ৩টি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকারসহ ৩৯ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৬টি জাহাজ কেনা হচ্ছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জাহাজগুলো বিএসসি’র বহরে যুক্ত হবে।

বিদ্যুৎ খাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প রামপাল, মাতারবাড়ী ও মহেশখালী স্থাপনের কার্যক্রম শুরু করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)’র পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য বিভিন্ন সাইজ ও ধরনের জাহাজ ক্রয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

শেয়ার হোল্ডারদের বিএসসি’র উপর আস্থা রাখায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নৌ মন্ত্রী বলেন, আপনাদের যে কোন ইতিবাচক পরামর্শ আমরা সাদরে গ্রহণ করবো। কারণ এই প্রতিষ্ঠানের মালিক আপনারা, আমরা কেয়ার টেকার।

সভায় শেয়ার হোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া। অন্যান্যের মধ্যে নৌ মন্ত্রনালয়ের সচিব আশোক মাধব রায়, উপদেষ্টা (অর্থ) মো. সাইফুল আলম হামিদি, নির্বাহি পরিচালক (টেকনিক্যাল) মো. সাঈদ উল্লাহ, নির্বাহি পরিচালক (অর্থ) বেগম ইয়াসমিন আফসানা, জিএম (অ্যাডমিন) মো. নওয়াব আসলাম হাবিব, সচিব মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad