ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অভিবাসীদের সব সেবা এখন চট্টগ্রাম থেকেই

মো.মহিউদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭
অভিবাসীদের সব সেবা এখন চট্টগ্রাম থেকেই ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মী এবং প্রবাসীরা শ্রম অভিবাসন ও কল্যাণ সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা এখন চট্টগ্রাম থেকেই দেওয়া হচ্ছে। ফলে এখন আর চট্টগ্রামের অভিবাসীদের ঢাকায় যেতে হবে না।

 

এরই মধ্যে এসব সেবা চালু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় থেকে বিদেশগামীরা সব ধরনের সেবা নিতে পারবে।

জানা গেছে, বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন, বায়োমেট্টিক ফিঙ্গার ইমপ্রেশন, বিএমইটি’র বহির্গমন ও স্মার্ট কার্ড, প্রবাসীদের আত্মীয় স্বজনদের বিদেশ গমনের সুবিধার্থে এনওসি প্রদান, বিদেশগামী মহিলা কর্মীদের যাচাই-বাছাই ও ৩০ দিনের প্রাক বহির্গমন প্রশিক্ষণ, পুরুষ কর্মীদের ৩ দিনের প্রাক বহির্গমন প্রশিক্ষণ, বিদেশ থেকে মৃত্যুবরণকারী কর্মীদের লাশ দেশে ফেরত আনা, লাশ বিমান বন্দরে গ্রহণ ও হস্তান্তর, লাশ পরিবহন ও দাফন খরচ বাবদ পরিবারকে ৩৫ হাজার  টাকার আর্থিক সাহায্যের চেক প্রদান, মৃত্যুজনিত কারণে ৩ লাখ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।

এরমধ্যে এনওসিসহ বেশ কিছু কাজের জন্য ঢাকা মহাপরিচালকের কার্যালয়ে যেতে হতো। সেখানে প্রার্থীকে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে হতো। এতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তো প্রবাসীর স্বজনরা।

জহিরুল ইসলাম জানান, প্রবাসীদের চিকিৎসা সহায়তার অর্থ, বকেয়া, ইন্সুরেন্স ও ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায়ের চেক হস্তান্তর, প্রবাসীর মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান, চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে এ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ সব কল্যাণমূলক সেবা চট্টগ্রাম থেকেই দেওয়া হচ্ছে।

এসব সুবিধা কেবল বৈধভাবে যারা বিদেশ গিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে জানিয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সেবা চালু করায় বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীসহ তাদের পরিবার উপকৃত হচ্ছে।

আর্ন্তজাতিক শ্রম অভিবাসন সংক্রান্ত ও কল্যাণমূলক কাজে সরাসরি চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস থেকে সেবা গ্রহণের অনুরোধ জানান সহকারী পরিচালক।

সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া নগদ অর্থ লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর আন্তরিকতায় জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের কার্যক্রম আরও বেগবান হচ্ছে।

সরকারিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাটসহ ২২০ টাকা জমা দিতে হয় জানিয়ে তিনি জানান, বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার ইনপ্রেশন ও এনওসি নিতে কোন ফি দিতে হবে না।

সহকারী পরিচালক জানান, ওমান, কাতার, বাহরাইন, দুবাই, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই ও সৌদি আরবগামী কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্র ঢাকার পাশাপাশি বিএমইটি’র সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে নিতে পারবে। এক্ষেত্রে কল্যাণ ফি ৩ হাজার ৫০০ টাকা, ছাড়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ২৫০, সত্যায়িত ভিসার ক্ষেত্রে ২৫০, অসত্যায়িত ভিসার ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা, একই সাথে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামাসহ মোট সাড়ে ৪ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।

এসব টাকা ট্রেজারি চালান বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা না দেওয়ার বিষয়ে বিদেশগামীদের সতর্ক থাকতে হবে। ব্যত্যয় ঘটলে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন-২০১৩ অনুসারে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সরকার সৌদি আরব গমনেচ্ছুদের অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন জানিয়ে রসিদের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।