সোমবার (২০ মার্চ) রাশেদ মিয়া বাদি হয়ে চট্টগ্রামের পঞ্চম মহানগর হাকিম আদালতে মামলার আরজি দাখিল করেন।
আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট খায়রুল ইসলাম।
আজিজ আহমেদ বর্তমানে নগর পুলিশের বিশেষ শাখায় পরিদর্শক পদে কর্মরত আছেন।
রাশেদ মিয়াকে নগরীর জিইসি মোড়ের এমসিএইচ ও ইউনি এইড নামে দুটি কোচিং সেন্টারের মালিক হিসেবে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার আরজিতে রাশেদ মিয়া অভিযোগ করেছেন, ২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে ওসি আজিজ তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তার কাছে ৭০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। রাশেদ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আজিজ ও তার বন্ধু আজাদ মিলে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে যান।
এরপর ১৬ অক্টোবর আজিজ ও আজাদ মিলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১১টি খালি চেকে স্বাক্ষর করতে রাশেদকে বাধ্য করেন। ২০ অক্টোবর মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে বাসায় পাঠিয়ে ওসি আজিজ রাশেদকে হয়রানি করেন।
মামলার আরজিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৮০, ৩৮৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে রাশেদ অভিযোগ করেছিলেন, সিএমপিতে ভালো পোস্টিং পেতে ঘুষ দেয়ার জন্য ওসি আজিজ তার কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
আরডিজি/টিসি