চট্টগ্রাম বন্দরের অনিয়ম দুর্নীতি অনুসন্ধানে তথ্য সংগ্রহ ও দুর্নীতি প্রতিরোধের অংশ হিসেবে দুদকের এ দলটি মাঠে নেমেছে বলে জানা গেছে। সোমবার দলের সদস্যরা বোর্ড সদস্য জাফর আলমের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
জাফর আলম বাংলানিউজকে বলেন, দুদকের তিন সদস্যের একটি দল সোমবার সাক্ষাত করেছেন।
এছাড়া বন্দরের জটিলতা, আইসিটির ব্যবহার কিভাবে বাড়ানো যায়, দ্রুত সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে।
‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কিভাবে সেবা দেয়, এর সঙ্গে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান জড়িত আছে কিনা, বন্দরে ভোগান্তিসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে একটি সুপারিশ দিতে বলেছেন। ’
দুদকের তিন সদস্যের দলনেতা ও পরিচালক এ কে এম জায়েদ হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরের চেয়ারম্যান ও একজন বোর্ড মেম্বারের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বন্দরের অডিট রিপোর্টও চেয়েছি।
এর আগেও বন্দর থেকে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব তথ্যের ভিত্তিতে দুর্নীতি অনুসন্ধান করবো। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি দুর্নীতির যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেসব বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা যেসব অভিযোগ পেয়েছি তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিয়ে এসেছি। এর আগেও কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। সেগুলো চলমান রয়েছে। পরিবহন বিভাগ ও নিরাপত্তা বিভাগের বিষয়েও জানতে চেয়েছি।
সুনির্দিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে কোন তথ্য চাওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার পর অফিসিয়ালি ব্যক্তিগত তথ্য চাইবো। বর্তমানে বন্দরের আইন-বিধিমালায় ইন্টারনাল কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটা দেখছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
এমইউ/টিসি