ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘ডোর টু ডোর’ অপারেশনের জন্য রেডি ১৯টি ওয়ার্ড

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
‘ডোর টু ডোর’ অপারেশনের জন্য রেডি ১৯টি ওয়ার্ড ১ এপ্রিল থেকে শতভাগ ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

চট্টগ্রাম: বারবার দিনক্ষণ বদলানোর পর এবার আলোর মুখ দেখছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ব্যয়বহুল ‘ডোর টু ডোর’ অপারেশন। ৪১ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টি নতুন পদ্ধতিতে গৃহস্থালি বর্জ্য সংগ্রহের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছে পরিচ্ছন্ন বিভাগ।

ইতিমধ্যে ১৯টি ওয়ার্ডের হোল্ডিংগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ট্রাকে কিংবা কনটেইনার নিয়ে আসার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫২২ জন ‘বিন শ্রমিক’। তারা প্রত্যেকে মাসে ৯ হাজার ৭২০ টাকা বেতন পাবেন।

বছরে সমপরিমাণ (২টি) উৎসব ভাতাও পাবেন।

এসব ওয়ার্ডে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪০৪টি ছোট এবং ১ হাজার ২১০টি বড় প্লাস্টিক বিন বিলি করা হয়েছে।

এসব বিনের গৃহস্থালি আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে ৩৮৭টি বিনের সাহায্যে।

চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আমাদের মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন আগামী ১ মার্চ থেকে ৪১ ওয়ার্ডে ডোর টু ডোর অপারেশন শুরুর জন্য। ইতিমধ্যে ১৯টি ওয়ার্ডের জনবল নিয়োগ, ভ্যান সংগ্রহ, বিন বিতরণসহ শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে ভ্যান ও বিন দিয়ে সহযোগিতা করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান

ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে চান্দগাঁও (৪ নম্বর), পশ্চিম ষোলশহর (৭), ষোলশহর (৮), লালখান বাজার (১৪), বাগমনিরাম (১৫), চকবাজার (১৬), দেওয়ানবাজার (২০), জামালখান (২১), এনায়েত বাজার (২২), উত্তর পাঠানটুলী (২৩), দক্ষিণ আগ্রাবাদ (২৭), পাঠানটুলী (২৮), আলকরণ (৩১), আন্দরকিল্লা (৩২), ফিরিঙ্গিবাজার (৩৩), পাথরঘাটা (৩৪), বক্সিরহাট (৩৫), গোসাইলডাঙ্গা (৩৬) ও দক্ষিণ হালিশহর (৩৯)।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ৪১ ওয়ার্ডে ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৯১৩টি ছোট এবং ২ হাজার ৩১০টি বড় প্লাস্টিক বিন থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ট্রাক বা কনটেইনারে তুলে দেওয়ার জন্য ৬২০টি ভ্যানের বিপরীতে ৯৯৩ জন বিন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হবে। দু-এক দিনের মধ্যে নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। ইতিমধ্যে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগই হরিজন সম্প্রদায়ের।

গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হাবিবুল হক বাংলানিউজকে জানান, আমার ওয়ার্ডের বারিক মিঞা বহুমুখী স্কুল প্রাঙ্গণে ডোর টু ডোর পদ্ধতিতে বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। আমার ওয়ার্ডেই ইতিমধ্যে শতভাগ ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা সব ডাস্টবিন ভেঙে ফেলেছি। চারটি জায়গায় বর্জ্য জমা করছি। মেয়র বলেছেন আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে আমাদের ওয়ার্ডের জন্য তিনটি ট্রাক দেবেন। তখন বর্জ্য সংগ্রহ করে আর মাটিতে রাখব না। সরাসরি ট্রাকে তুলে দেব।

চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বাংলানিউজকে জানান, ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এ মাসেই সম্পন্ন করা হবে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘরে ঘরে গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করবো। কেউ যদি উন্মুক্ত জায়গায়, রাস্তার পাশে, নালায় বর্জ্য ফেলে তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হবে।

'পাঁচ বছর পর বলবো না আরেকবার সুযোগ দিন'

চসিকের বিনামূল্যের বিন ভাঙ্গারির দোকানে

এ মাসেই ঘরে ঘরে গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করবে চসিক

সব উন্মুক্ত ডাস্টবিন ভাঙা হবে মঙ্গলবার

বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।