ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রেমতলায় মাইকিং

‘তিনদিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের তথ্য দিন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
‘তিনদিনের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের তথ্য দিন’

চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডে নামারবাজার ও প্রেমতলায় দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর পৌরসভা এলাকার ভাড়াটিয়াদের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য নিতে বাড়ির মালিকদের তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে প্রশাসন।

এর মধ্যে ভাড়াটিয়াদের তথ্য প্রশাসনকে না দিলে আবারও কোনো জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেলে এর জন্য মালিকদের দায়ী করা হবে বলে জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি প্রশাসন ওই এলাকায় বাইরে থেকে এসে বাড়ি করা মালিকদের বিষয়েও তথ্য নিচ্ছে।

রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌরসভা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে ওই এলাকায় এ সংক্রান্ত মাইকিং হচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে, ‘বাড়ির মালিকদের অনুরোধ করা যাচ্ছে যে, আগামী তিনদিনের মধ্যে স্থানীয় কাউন্সিলের কাছে ভাড়াটিয়াদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য জমা দিন।

এর মধ্যে তথ্য জমা না দিলে আপনার ভবনে কোনো জঙ্গি আস্তানার সন্ধান বা এসংক্রান্ত কিছু পাওয়া গেলে আপনি দায়ী থাকবেন। ’

প্রেমতলা এলাকার ছায়ানীড় নামের ভবনে সন্ধান পাওয়া জঙ্গি আস্তানার সামনে কথা হয় স্থানীয় কাউন্সিলর শফিউল আলম চৌধুরী মুরাদের সঙ্গে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের পৌরসভায় মোট নয়টা ওয়ার্ড রয়েছে। আমরা নয় ওয়ার্ডের নয়জন কাউন্সিলর বাড়ির মালিকদের বলে দিয়েছি তাদের ভাড়াটিয়াদের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য আমাদের কাছে জমা দিতে। সেই তথ্যে ভাড়াটিয়ার বাড়ি যেখানে সেই এলাকার জনপ্রতিনিধির প্রত্যায়ন পত্র থাকতে হবে। পাশাপাশি তার জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য সব তথ্য দিতে হবে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত একটি ফর্ম আমরা বাড়ির মালিকদের দিয়েছি। সেই ফর্মে কি কি তথ্য দিতে হবে তা উল্লেখ আছে। ’

‘পাশাপাশি আমরা এই এলাকায় বাইরে থেকে এসে যারা বাড়ি করছে তাদের বিষয়েও পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করছি। ভাড়াটিয়া ও মালিকদের এই তথ্যসমূহের একটি কপি পৌরসভায় রাখা হবে এবং আরেকটি কপি থানায় দেওয়া হবে। –বলেন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলর।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরাই এটার উদ্যোগ নিয়েছি। গত দুই সপ্তাহ আগে কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছিলাম ভাড়াটিয়াদের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করতে। জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর পুনরায় জনপ্রতিনিধিদের জোরালোভাবে তাগাদা দিয়েছি। তাদের কাছে এ সংক্রান্ত ফরমও সরবরাহ করেছি। এখন প্রতি ওয়ার্ডে একজন নারী ও একজন পুরুষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা তথ্য সংগ্রহ করে স্ব স্ব কাউন্সিলরকে দিচ্ছেন। এরপর সেই তথ্যগুলো আমরা যাচাইবাচাই করবো। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।