ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাঁড়াশি অভিযানের জন্য আস্তানা ঘিরে সোয়াত টিম

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
সাঁড়াশি অভিযানের জন্য আস্তানা ঘিরে সোয়াত টিম অভিযানে এসেছে সাঁজোয়া যান

সীতাকুণ্ড থেকে: সীতাকুণ্ড পৌরসভার চৌধুরীপাড়ায় সন্ধান পাওয়া জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালাতে গিয়ে আবারও প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে পুলিশ।  পুলিশের গুলির জবাবে তারা গ্রেনেড ছুড়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের এসপি নূরে আলম মিনা।

এই অবস্থায় ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষ টিমকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য বলা হয়েছে।   ঢাকার টিম যোগ দেয়ার পর ওই আস্তানায় মূল ‍অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এসপি।

‘এইমাত্র ‍গোলাগুলি ও গ্রেনেড চার্জ হয়েছে।   তারা আবার গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছে।

 আমাদের পক্ষ থেকে গুলি করা হয়েছে। আমরা কাজ চালাচ্ছি।   ঢাকা থেকে টিম আসছে। সিএমপির সোয়াতও এসেছে। তবে মূল ‍অভিযান শুরু হবে ঢাকার টিম আসার পর। ’

‘একজনও যাতে পালাতে না পারে সেজন্য আমরা চারদিক থেকে অবস্থান নিয়েছি।   কাজ চলছে।   সেখানের বাসিন্দা যারা আছেন, তাদের মধ্যে অনেক নারী-শিশু আছে।  ঘনবসতি এলাকা।   বাসিন্দাদের সেফটিটা আগে দেখতে হচ্ছে।   তবে কেউ  কোনভাবে পালাতে পারবে না।  যেভাবে টাইম লাগে, প্রফেশনাল ওয়েতে আমরা করব। ’ বলেন এসপি

আটক দুই জঙ্গি নব্য সদস্য বলে ধারণার কথা জানিয়েছেন এসপি।  তারা পটিয়া থেকে আস্তানা পাল্টে চলতি মাসে সীতাকুণ্ডে অবস্থান নেয় বলে জানিয়েছেন এসপি।

বুধবার (১৫ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সড়ক থেকে কয়েকশ গজ দূরে আস্তানার দিকে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছিল পুলিশকে।   এসময় হ্যান্ডমাইকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান ‍জানাতেও শোনা গিয়েছিল পুলিশকে।

দুপুরে চৌধুরীপাড়ার ছায়ানীড় ভবনের নিচতলায় ওই আস্তানায় পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে তখনও তাদের উপর তিনটি হাতবোমা ছুঁড়ে মারে জঙ্গিরা।   এতে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল সহ দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।   এরপর পুলিশ পিছু হটে পুরো আস্তানা ঘিরে রাখে।

এর আগে দুপুরে সীতাকুণ্ড পৌরসভার লামারবাজার আমিরাবাদের সাধন কুটির থেকে জঙ্গি দম্পতিকে তাদের এক শিশুসন্তান সহ আটক করা হয়।   সাধন কুটিরের মালিকই মূলত তাদের ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।  

এরপর দুপুরেই তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চৌধুরীপাড়ার আস্তানায় অভিযান চালাতে গিয়েছিল পুলিশ।

হাতবোমা হামলার শিকার হয়ে পুলিশ চৌধুরীপাড়ার আস্তানা ঘিরে রেখে এক কিলোমিটার দূরের সাধন কুটিরের আস্তানার অভিযান শেষ করে।   সেখানে থাকা হ্যান্ডগ্রেনেডগুলো নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।

এরপর চৌধুরীপাড়ায় দ্বিতীয় দফা অভিযান শুরুর আগে পাঁচটি সিএনজি অটোরিকশায় করে ছায়ানীড় ভবনের আশপাশের কিছু বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয় পুলিশ।   ওই ভবনের নিচতলার একটি বাসা আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছিল জঙ্গিরা।

তবে ছায়ানীড় ভবনের বাসিন্দাদের এখনও বের করতে পারেনি পুলিশ।   এসপি বলেছেন, ওই ভবনের বাসিন্দাদের সবাইকে দরজা বন্ধ করে রাখতে বলা হয়েছে।   আপাতত কেউ জিম্মি হওয়ার খবর তাদের কাছে নেই।

দুটি আস্তানাই নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্র সংগঠন জেএমবির বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো.শফিকুল ইসলাম।   এদের মধ্যে একটি আস্তানা থেকে আটক হওয়া নারী-পুরুষ জেএমবির সদস্য বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭

টিএইচ/আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।