বুধবার (১৫ মার্চ) সীতাকুণ্ড পৌরসভার লামারবাজার আমিরাবাদের সাধন কুটির থেকে দুই জঙ্গিকে আটকের পর এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন বাংলানিউজকে জানান, সাধন কুটির ভবনটির মালিক সুভাষ নামে এক ব্যক্তি।
বুধবার দুপুরে আবার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি চাইলে বাসায় থাকা এক নারী ও পুরুষ বাড়িওয়ালীকে একটি কাগজ ধরিয়ে দেন। সুভাষদের পাশের বাসায় থাকেন সাগর নামে এক যুবক। তিনি কম্পিউটারের ব্যবসা করেন। সাগরের কাছে কাগজটি নিয়ে গেলে কম্পিউটারে চেক করার পর সেটি যে ভুয়া তা ধরা পড়ে।
সাথে সাথে নিচতলার বাসায় গিয়ে দুই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সুভাষের স্ত্রী ও সাগর। সুভাষের স্ত্রী এসময় বলেন, তোমরা তো ভুয়া কাগজ দিয়েছ। তোমাদের তো সমস্যা আছে। এর আগে ওই বাসায় বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামও দেখেছিলেন সুভাষের স্ত্রী।
এরপর জঙ্গিদের ধরতে গেলে নারী জঙ্গিটি সুভাষের স্ত্রীর হাতে কামড় দেয় ও পুরুষ জঙ্গির সঙ্গে ধস্তাধস্তির ফলে সাগরের শার্ট ছিঁড়ে যায়। শোরগোল শুনে আশপাশের মানুষ এসে জঙ্গিদের আটক করে ও পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে জঙ্গিদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এসময় জঙ্গিরা জানায় তারা আগে কলেজ রোডের ছায়ানীড় ভবনে ভাড়া ছিল। এরপরই ছায়ানীড় ভবনে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
এদিকে ছায়ানীড় ভবনে অভিযানের ফলে পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জঙ্গি আস্তানার ভেতরে আটকে পড়া নারী ও শিশুদের স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এছাড়া উৎসুক জনতাও ভিড় করছেন। তবে পুলিশ সবাইকে নিরাপদ দুরত্বে সরিয়ে দিয়ে পুরো বাড়িটি ঘিরে রেখছে। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সীতাকুণ্ড পৌরসভার কাউন্সিলর শফিউল আলম মুরাদ বাংলানিউজকে জানান, এর আগে লামারবাজার থেকে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এখানে অভিযান চালানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বাংলানিউজকে বলেন, আস্তানার ভেতরে অস্ত্র-গুলি, হ্যান্ডগ্রেনেড ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক রয়েছে। সীতাকুণ্ড থানার ও জেলার রিজার্ভ টিম অভিযানে যোগ দিয়েছে। সিএমপি থেকে বিস্ফোরক নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট ও সোয়াত টিম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তারা গেলে মূল অভিযান শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি